শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০১ মার্চ, ২০১৮, ০৮:৫৭ সকাল
আপডেট : ০১ মার্চ, ২০১৮, ০৮:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কে বাজায় জাপার বাঁশি?

তারেক :  এতদিনের হাস্যরসের অবসান ঘটিয়েছে সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)। বর্তমান সংসদের চার বছর ধরে কেউ ‘গৃহপালিত বিরোধী দল,’ কেউবা ‘পকেট বিরোধী দল’ আখ্যা দিয়ে আসছিল জাপাকে। কারণ একই সংসদে তারা সরকারি দলের অংশ এবং বিরোধী দলের দায়িত্বে। শেষ পর্যন্ত গত মঙ্গলবার বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাবে ‘দুই নৌকায় পা’ রাখা নিয়ে অসহায় আত্মসমর্পণ করে বক্তব্য দেন। এতে প্রশ্ন জেগেছে, কে বাজাচ্ছে জাপার বাঁশি!

সংসদ অধিবেশনে এদিন তিনি স্বীকার করেন, ‘জাতীয় পার্টি এখন সম্মানের সঙ্গে নেই।’ রওশন এরশাদ দলের অস্তিত্বের প্রশ্ন তুলে হতাশার সঙ্গে সংসদে বলেন, ‘আমরা যখন বাইরে যাই, তখন সবাই বলে, তুমি কোথায় আছ, সরকারে না বিরোধী দলে? আমরা জবাব দিতে পারি না।’

রওশন এরশাদ সংসদে হাস্যরসের উদ্রেক করে বলেন, ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে লজ্জা লাগে।’ তিনি সংসদে উপস্থিত প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজেদের ‘আসল পরিচয়’ জানতে চান, ‘আমরা সরকারি দল, না বিরোধী দল, কোনটা আমরা?’

এমনকি তিনি প্রধানমন্ত্রীকে আগে দেওয়া প্রস্তাব সম্পর্কে জ্ঞাত করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম, আমাদের মন্ত্রীগুলোকে উইথড্র করে নেন। আমাদের বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করতে দিন। কিন্তু আমি জানি না, কেন সেটা হয়নি।’

রওশন এরশাদ সরকারের ছায়া থেকে সরে যেতে কিংবা বিরোধী দলের সবাইকে মন্ত্রিত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, ‘এটা (সরকারের শরিক থেকে বাদ দেওয়া) যদি আপনি করতেন, জাতীয় পার্টি বেঁচে যেত। জাতীয় পার্টি সম্মানের সঙ্গে থাকতে পারত। না-হয় আমাদের ৪০ জনকে সরকারে নিয়ে নেন। বিরোধী দল দরকার নেই।’

দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান এবং বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে তিনি স্বদলীয় মন্ত্রীদের পদত্যাগের ব্যাপারে খোদ সংসদে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাওয়ায় প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, জাপার নাটাইটা তবে কার হাতে? কারণ দলের নেতা হিসেবে নিজ দলীয় মন্ত্রীদের রওশন এরশাদ পদত্যাগ করতে বলতে পারছেন না বা পদত্যাগে বাধ্য করতে তিনি অপারগ।

জাপার এমন পরিস্থিতিতে ভেতরের ঘটনা জানতে দলটির একাধিক নেতাকে ফোন করা হলে তারা এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলটির মাঝারি পর্যায়ের এক নেতা বলেন, বিষয়টা নিয়ে দলের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। দলীয় ফোরামে বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই নেতা আরও বলেন, দলের চেয়ারম্যান এরশাদের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি (রওশন এরশাদ) এই কথা বলেছেন কি না সেটাও আমাদের জানা নেই।

২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকেই বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু এবারে নির্বাচনের বছরে এসে রওশন এরশাদের বক্তব্যকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও নানাভাবে দেখছেন।

লেখক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলছিলেন, ‘আমার কাছে পুরো বিষয়টাই হাস্যকর মনে হয়। জাতীয় পার্টি কী সিদ্ধান্ত নেবে, কীভাবে চলবে- এই সিদ্ধান্তটা জাতীয় পার্টি নিতে পারছে না। এটা সম্ভবত সরকারি দল আওয়ামী লীগের কাছ থেকেই আসছে।’

উল্লেখ্য, সংসদে ওইদিন রওশন এরশাদের ‘পরিচয় সংকটে ভোগা’ বক্তব্যের সময় সরকারদলীয়, সরকারের শরিক অন্যান্য মন্ত্রী-এমপি এমনকি নিজ দলীয় মন্ত্রী-এমপিরাও হাস্যরসে মেতে ওঠেন। প্রধানমন্ত্রী এক পর্যায়ে নিজের মাইক বন্ধ করে রওশন এরশাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং জাপার এক সদস্য এই আলোচনা বাদ দিতে অনুরোধ করেন।

কিন্তু না থেমে নিজের বক্তব্য চালিয়ে যান সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ। এতে প্রকট হয়ে পড়ে জাপা তবে চলছে কার নির্দেশে!  উৎসঃ পরিবর্তন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়