সারোয়ার জাহান: আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দেয়া, পেটের ক্ষুধা নিবৃত্ত করা, মুখের খাদ্য জোগানোর মতো মহৎ কাজ আর হতে পারে না।
বুধবার বিকেলে দেশব্যাপী ই-এগ্রিকালচার সেবা সম্প্রসারণে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ‘কৃষি বাতায়ন’ (এগ্রিকালচার পোর্টাল) এবং ‘কৃষক বন্ধু ফোন সেবা’ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ দু’টি সেবার উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি একটি পবিত্র কাজ। কৃষকের ছেলে শিক্ষা নিয়ে কৃষিকাজে যাবে না, এমনভাব যেন না থাকে। সরকার আইটিভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন এবং জীবন-যাত্রাকে আরও সহজ করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। কৃষিকে আধুনিক পদ্ধতিতে যান্ত্রিকীকরণ করা হচ্ছে। ফলে কৃষির যে জ্ঞান তারা নিজের বাবা-মায়ের কাছ থেকে পাবেন তাকে ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, কৃষি কাজে সবাইকে সম্পৃক্ত হতে হবে। দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি কৃষির ওপর নির্ভরশীল বিধায় জাতির পিতা স্বাধীনতার পরে কৃষিকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। ফলে খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশ উঠে দাঁড়িয়েছিল এবং প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগ অর্জিত হয়েছিল।
ধীরে ধীরে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প গড়ে তোলাও জাতির পিতার একটা লক্ষ্য ছিল। কিন্তু ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে নিহত হওয়ায় জাতির পিতা তার এ পদক্ষেপকে সম্পূর্ণ করে যেতে পারেননি এবং এরপরই দেশে হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র এবং অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের রাজনীতি শুরু হয়।
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন এবং কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মইনুদ্দীন আব্দুল্লাহ অনুষ্ঠানে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রকল্পের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) করিব বিন আনোয়ার ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন।
অনুষ্ঠানে ৫টি জেলা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল এবং সারা দেশের ৬৪টি জেলার ৫৬০টি উপজেলাতেই এ ভিডিও কনফারেন্সটি প্রচারিত হয়।
সূত্র: জাগো নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :