সরাইল প্রতিনিধি: ব্রাম্মণবাড়িয়ায় সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামে ফের মেঘনার ভাঙনের শিকার হয়েছে তিনটি বসতবাড়ি। এর আগে গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে পালপাড়া গ্রামের আটটি বসতবাড়ি এবং একই ইউনিয়নের শাখাইতি গ্রামের পাঁচটি চাতাল কল মেঘনা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে এক এক করে বিলীন হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ করে ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি ও ঝড়ে নদী তীরের নরম মাটি হঠাত্ করে ভেঙে যেতে থাকে। এতে পালপাড়া গ্রামের মেঘনা নদীর পাড়ের চন্দ্রবালা পাল, নারায়ণ পাল ও ঘনেষ পালের তিনটি বসতবাড়ি মেঘনা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ ঘটনার পর থেকে স্থানীয় অনেকে এখন আতঙ্কে সময় পার করছেন।
পানিশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দ্বীন ইসলাম এ সংবাদদাতাকে বলেন, এখানে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙন দেখা দেয়।
গত বছর এক ঘণ্টা সময়ের মধ্যে গ্রামবাসীর চোখের সামনে মেসার্স পলাশ, আল হাবিব এক ও দুই, হাজী এবং খাজা বাবা নামে পাঁচটি চাতাল কল মেঘনা নদীতে সম্পূর্ণ বিলীন হয়েছে। এ বছর বৃষ্টির প্রথম দিনেই এ ঘটনা ঘটেছে। গ্রামের মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। বহু পরিবার এ গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। এখন গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা কোনো সাহায্য চাই না। আমরা চাই গ্রামের পাশে একটি বাঁধ নির্মাণ। না হলে এক সময় পুরো শাখাইতি ও পালপাড়া গ্রাম দুটি মেঘনা নদীতে হারিয়ে যাবে। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে ইসরাত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :