ডেস্ক রিপোর্ট : খালার সঙ্গে ফজরের নামাজে দাঁড়িয়েছিল আয়েশা আক্তার। হঠাৎ করেই আয়েশা জায়নামাজ থেকে উধাও! স্বজনরা কোথাও খুঁজে পাচ্ছিলেন না দশম শ্রেণিতে পড়ূয়া মেয়েটিকে। সোমবার ভোরে উধাও হওয়ার প্রায় ত্রিশ ঘণ্টা পর ৫০ ফুট উঁচু একটি সেগুন গাছের মগডাল থেকে তাকে উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ঘটনাটি ঘটে গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর এলাকায়।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে সবজি ক্ষেতে কাজ করার সময় এক কৃষক দেখতে পান, একটি সেগুন গাছের মগডালে বসে আছে ওই এলাকার আতাউল হকের মেয়ে আয়েশা। তিনি ডাকাডাকি করে লোকজন জড়ো করেন। খবর পেয়ে ছুটে আসেন তার স্বজনও। আয়েশাকে নেমে আসার জন্য বার বার অনুরোধ করেন তার আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় লোকজন; কিন্তু কিছুতেই নেমে আসছিল না মেয়েটি। পরে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়। দুপুর দেড়টার দিকে আয়েশাকে নামিয়ে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিস কর্মী রফিকুল ইসলাম জানান, রশির সাহায্যে ওই মগডালে গিয়ে আয়েশাকে স্পর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে তাকে নিজের শরীরের সঙ্গে বেঁধে রশির মাধ্যমেই নিচে নামিয়ে আনেন।
মেয়েটির পরিবার জানায়, এর আগে কখনও আয়েশা এ রকম করেনি। মানসিক কোনো রোগ আছে কি-না সেটাও পরিবারের জানা নেই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর বাবা-মায়ের কাছেই রয়েছে সে। তথ্যসূত্র : সমকাল
আপনার মতামত লিখুন :