সাইদুর রহমান : জ্বীন মানবদেহে প্রবেশ করতে পারে। আল্লাহ বলেন, “যারা সুদ খায় তারা (কিয়ামত) সেই ব্যক্তির মত দ-ায়মান হবে, যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে দিয়েছে।” (বাকারাহ, ২৭৫) এরদ্বারা বুঝা যায়, শয়তান বা জ্বীন মানুষকে স্পর্শ করতে পারে এবং পাগল করতে পারে।
হাদীসেও এর প্রমাণ রয়েছে, নবী (স.) বলেছেন, “শয়তান মানুষের রক্ত-শিরায় প্রবাহিত হয়।” ২৫ বুখারী , হাদীস নং ২০৩৮, মুসলিম, হাদীস নং ৫৮০৭। আর শয়তানও জ্বীনের অর্ন্তভূক্ত।
এছাড়া নবী (স.) ‘উখরুজ আদুওয়াল্লাহ’ (আল্লাহর শত্রু বের হও ) বলে মুখে থুথু দিয়ে জ্বীন বিতাড়িত করেছেন। আহমাদ, ইবনে মাজাহ ৩৫৪৮
অন্য হাদীসে এসেছে, রাসূল সা. বলেছেন, গত রাতে একটি শক্তিশালী জ্বীন আমার উপর চড়াও হতে চলেছিল। তার উদ্দেশ্য ছিল আমার নামাজ নষ্ট করা। আল্লাহ তার বিরুদ্ধে আমাকে শক্তি দিলেন। (বুখারি , সালাত অধ্যায়)
এ হাদীসের বিষয়ে নাসায়ী শরিফে এসেছে, আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, আমি তাকে (জ্বীনকে) ধরে ফেললাম। আছাড় দিলাম এবং গলা চেপে ধরলাম। এমনকি তার মুখের আদ্রতা আমার হাতে অনুভব করলাম।
প্রিয়নবী সা.কে যদি জ্বীন প্রভাবান্বিত করতে পারে তাহলে সাধারণ মানুষের তো বলাই বাহুল্য। হাদীসে জ্বীনের অনিষ্টতা থেকে আল্লাহর কাছে দোআ করতে বলা হয়েছে। বিশেষত রাতে শোয়ার সময় আয়াতুল কুরসী পড়ে ঘুমালে হাদীস অনুযায়ী কোন জ্বীন ও ইনসান ক্ষতি করতে পারে না।
আপনার মতামত লিখুন :