তরিকুল ইসলাম : তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে রোববার (৪ মার্চ) ঢাকা আসছেন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ত্রান দাই কুয়াং। আড়াই শতাধিক সফরসঙ্গী নিয়ে বাংলাদেশ সফর করবেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। তার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকছে দেশটির ১০০ প্রতিষ্ঠানের দুই শতাধিক ব্যবসায়ীর সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দল।
ঢাকা সফরকালে ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন তিনি। এ বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি পূরণের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। উভয় দেশের মধ্যে কৃষি, মৎস্য ও পশুসম্পদ, সংস্কৃতি বিনিময়, শিল্প সহযোগিতাবিষয়ক বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা সই হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, ত্রান দাই কুয়াংয়ের সফরকালে ‘বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম বিজনেস ফোরাম’-এর আয়োজন করা হয়েছে। এ ফোরামে দুই দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নেবে। সফরকালে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখবেন ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা। হাই প্রোফাই বৈঠকে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়টিও তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে দেশটির বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চাওয়াসহ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার প্রস্তাব দেয়া হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্যমতে, বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনামে রফতানি হওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে কৃষি, চামড়াজাত ও প্রকৌশল পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, ওষুধ, খেলনা, আসবাব, বিশেষায়িত বস্ত্র, নিট ও ওভেন পোশাক এবং প্লাস্টিকসামগ্রী। আর ভিয়েতনাম থেকে মূলত খনিজ দ্রব্য, চাল, বস্ত্র ও বস্ত্রসামগ্রী, যন্ত্রপাতি ও প্লাস্টিক উপাদান, কৃষিপণ্য, পাল্প, পেপার ও পেপারবোর্ডসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ।
এর আগে ২০১২ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিয়েতনাম সফর করেন। সে সময় ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্ট ত্রান দাই কুয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন ভিয়েতনামের প্রেসিডেন্টকে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সে আমন্ত্রণেই ঢাকা সফরে আসছেন ত্রান দাই কুয়াং।
আপনার মতামত লিখুন :