শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১১:২৭ দুপুর
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১১:২৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

অভিজিৎ রায়ের সম্মানে স্মৃতি পুরষ্কারের ঘোষণা দিলো এফএফআরএফ

আল-আমীন আনাম: ঢাকার সড়কে ইসলামী চরমপন্থীদের হামলায় নিহত যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী বাংলাদেশী মুক্তচিন্তার লেখক ও ব্লগার অভিজিত রায় হত্যাকান্ডের ৩য় বার্ষিকী উপলক্ষে তার নামে স্মৃতি পুরষ্কার চালুর ঘোষণা প্রদান করতে পেরে গর্বিত ‘দ্যা ফ্রিডম ফ্রম রেলিজিওন ফাউন্ডেশন’ (এফএফআরএফ)।

অভিজিত বাংলাদেশ, দক্ষিণ এশিয়া এবং বাংলা ভাষাভাষীদের মধ্যে মুক্ত ও যুক্তিসঙ্গত চিন্তা ভাবনার পক্ষে একটি আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন। তার বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর ওপর পিএইচডি ডিগ্রি ছিলো, কিন্তু তিনি ধর্ম, নাস্তিকতা, সৃষ্টিতত্ব, সমকামিতা এবং রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর এর মতো বিষয় সমূহ্ নিয়ে লেখালেখি করে আসতেন। এ বিষয়গুলো নিয়ে বাংলাদেশে তার ৭টি বই প্রকাশিত হয়েছিলো।

অভিজিত বিশ্বের সকল বাংলা ভাষা-ভাষীদের জন্যে অনলাইনে ‘মুক্তমনা’ নামে একটি ব্লগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুক্ত ও যুক্তিসঙ্গত আলোচনা করা হতো। স্বাধীন মত প্রকাশের একজন প্রবক্তা হিসেবে তিনি বাংলাদেশে নাস্তিক ব্লগারদের গেপ্তারের বিপক্ষে আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতেন।

ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০১৫ তে তিনি একুশে বই মেলা থেকে ফেরার পথে ইসলামী চরমপন্থীদের হামলায় নিহত হন এবং সাথে থাকা তার স্ত্রী বোনিয়া আহমেদ গুরুতর ভাবে আহত হন, তবে তিনি প্রানে বেঁচে যান।

এফএফআরএফ বোনিয়া আহমেদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়ে বলেছে তারা এ্যাওয়ার্ড বা বৃত্তি প্রদানে সকল প্রকার সহযোগিতা করবে। এটি করবে তারা শুধু প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে তার উপর পৈশাচিক হত্যাক-ের ঘটনাটি মানুষের কাছে পৌছে দিতে।

যারা যৌক্তিক ও প্রাসঙ্গিক আলোচনায় ভাল করবে, ধর্মীয় উগ্রবাদের প্রভাব কমাতে কাজ করবে, মানবিক আইন সম্মত সমাজ গঠন করতে কাজ করবে ও বৈষম্য রোধ করতে কাজ করবে শুধু তাদেরই এই বৃত্তি বা পুরষ্কারটি দেয়া হবে। পুরষ্কারটি তাদের স্বীকৃতি স্বরুপ যারা তাদের লেখনি, শিল্পের মাধ্যমে মানুষের অনুভুতি, বিজ্ঞান, যুক্তি ও মানবিক ধারণা প্রকাশ করতে শৃজনশীল ও বিরত্বের পরিচয় দিতে ব্যক্তিগত জীবনে সংগ্রাম করবে ও মৃত্যুর হুমকি পর্যন্ত সহ্য করবে।

সংস্থাটির সহ-সভাপতি এ্যানি লরি গ্যলোর জানান, ‘আমরা এই স্মরণ পুরষ্কারের অংশিদার হতে পারায় গর্বিত ও তার বিধবা স্ত্রীর সাথে কাজ করতে পারায় গর্বিত। যিনি অভিজিত রায়ের মুক্তমণা আদর্শকে অব্যাহত রাখবে ও স্মৃতিকে ধরে রাখবে যুগ যুগ ধরে। পাশাপাশি যিনি অন্যান্য বিপদগ্রস্ত বাংলাদেশিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।’
উল্লেখ্য, অভিজিত তার মৃত্যুর আগে তার ব্লগে লিখেছিলেন- ‘তুমি একজন মানুষকে হত্যা করতে পার কিন্তু তার আদর্শকে নয়। তাই অভিজিতের কাজ অব্যাহত থাকবে এবং পরিশেষে প্রাসঙ্গিকতা ও বিবেকরই জয় হবে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়