শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১০:০৪ দুপুর
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১০:০৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাবার খুনে মিটল ছেলের ঋণের দায়!

ডেস্ক রিপোর্ট : ছেলে মোবাইল কিনে মাত্র দুইশ' টাকা বাকি রেখেছিল। পাওনা টাকা আদায়ে গত রোববার রাতে বিক্রেতারা মারধর করছিল ছেলেকে। এ দৃশ্য সহ্য করতে পারেন কোন বাবা? তাই তো তিনি এগিয়ে গেলেন ছেলেকে রক্ষায়। আর পাওনাদারদের ক্ষোভ গিয়ে পড়ল বাবার ওপর। সেই ক্ষোভ এতটাই প্রচণ্ড ছিল যে, মারতে মারতে মেরেই ফেলল বাবাকে। ঘটনাটি টাঙ্গাইলের বাসাইল এলাকার নাকাছিম গ্রামের। নিহত ব্যক্তির নাম করে আলম বেগ (৫২)। তিনি ওই গ্রামের আবদুর রহিম বেগের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে।

বাসাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম তুহিন জানান, বাসাইল পশ্চিমপাড়া এলাকার রানার কাছে একটি মোবাইল বিক্রি করে প্রিন্স ও জনি। মোবাইল বিক্রির ৮০০ টাকার মধ্যে ৬০০ টাকা পরিশোধ করা হয়। বাকি ২০০ টাকা পরিশোধ করা নিয়ে রানা ও প্রিন্সের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

রোববার রাত ৮টার দিকে প্রিন্স, জনি, রাশেদসহ ১০-১২ জন মিলে রানার কাছে আবার সেই পাওনা টাকা চাইতে যায়। টাকা না দেওয়ায় বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে প্রিন্স ও তার বন্ধুরা রানাকে মারধর করলে রানার বাবা আলম বেগ তাদের বাধা দেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা রানার বাবা আলম বেগকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ সংবাদ পেয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রাশেদ, সুনিত বিহারী, জনি ভূঁইয়া, তানভীর ইসলাম, শিহাবকে আটক করে।

এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় আলম বেগের মৃতদেহ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সন্ধ্যায় নাকাছিম গ্রামে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

টাঙ্গাইলের সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফ-উল-আলম বলেন, 'হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পাঁচজনকে জড়িত সন্দেহে আটক করা হয়েছে। এর সঙ্গে আরও যারা জড়িত, তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।' সূত্র: সমকাল

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়