ডেস্ক রিপোর্ট : ‘হামার আন্ধার ঘরোত অ্যালা বাতি জ্বলে। অ্যালা হামরা আর চউরা মানুষ নোয়াই।’ কথাগুলো বলছিলেন রংপুরের কাউনিয়ার চরঢুষমারা গ্রামের রহমান মিয়ার স্ত্রী বিউটি।
কিছুদিন আগেও তাদের কাছে বিদ্যুতের আলো ছিল আকাশকুসুম কল্পনা। কিন্তু আজ চরাঞ্চলের মানুষেরা বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে। যেখানে যাতায়াতের কোনো রাস্তা নেই, সেখানে বিদ্যুৎ পাওয়া ছিল তাদের কাছে দুঃস্বপ্নের মতোই। গ্রামের সবাই সন্ধ্যা নামতেই নাওয়া-খাওয়া সেরে ঘুমাতে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। কারণ কেরোসিন তেলের দাম বেশি হওয়ায় রাতে বেশিক্ষণ বাতি জ্বালানো বন্ধ করে দেয় তারা। ফলে শিক্ষার্থীরা রাতে পড়াশোনা করতে পারত না। তাই পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল করতে পারত না। এ অবস্থায় চরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে এগিয়ে আসে সরকার ও এনজিও সংস্থা। ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে সৌরবিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়।
বিউটি বেগম বলেন, ‘হামাক অ্যালা কয় চউরা মানুষ। অ্যালা হামরা শহরের মাইষের মতো হয়া গেছি। শহরের মতো রাইতের বেলা হামার অ্যাটে কারেনের বল জ্বলে। লেলটং জ্বলেয়া হামার ছাওয়া পোওয়াক আর নেকাপড়া করা নাগে না। হামরা টিপিও (টেলিভিশন) দেইখপার পাই।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, সরকার টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে এক হাজার ৭শ এবং বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক ও গ্রামীণ শক্তি আরডিআরএস উপজেলার তিস্তা নদী বেষ্টিত গ্রাম চরপল্লীমারী, চরনাজিরদহ, প্রাণনাথচর, চরগনাই, চররাজীব, চরহয়বৎখাঁ, চরআজমখাঁ, চরবিশ্বনাথ, চরঢুষমারাসহ ২৯টি চরে প্রায় ৪২শ পরিবারে সৌরবিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপন করেছে। তথ্যসূত্র : পরিবর্তন ডটকম
আপনার মতামত লিখুন :