ডেস্ক রিপোর্ট : দক্ষিণ কোরিয়ায় এবছরের উইন্টার অলিম্পিকের আসর শেষ হয়ে গেছে। এখন অলিম্পিকের আয়োজকদের কম্পিউটার সিস্টেম কারা হ্যাক করেছিল সে সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বেরিয়ে আসছে।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন পোস্টকে জানিয়েছেন, রাশিয়ার মেইন ইনটেলিজেন্ট ডিরেক্টরেট (জিআরইউ)-এর হ্যাকাররা ফেব্রুয়ারির শুরুতে অলিম্পিক আয়োজকদের ৩০০ কম্পিউটার হ্যাক করে। তারা জানুয়ারি মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন রাউটার হ্যাক করে এবং ফেব্রুয়ারির ৯ তারিখে অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন আবার অলিম্পিকের সিস্টেম হ্যাক করে।
এসব করার সময় রাশিয়ার হ্যাকাররা সব দোষ উত্তর কোরিয়ার ঘাড়ে চাপানোর জন্য উত্তর কোরিয়ার ইন্টারনেট অ্যাড্রেস ব্যবহার করাসহ ‘অন্যান্য কৌশলের’ আশ্রয় নেন।
অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় আয়োজকদের কম্পিউটার হ্যাক করায় অনুষ্ঠানের সম্প্রচার ব্যাহত হয় এবং অনেক অতিথি তাদের টিকিট প্রিন্ট করতে ব্যর্থ হন।
যুক্তরাষ্ট্র বা অলিম্পিক আয়োজক কেউই প্রকাশ্যে রাশিয়াকে সাইবার হামলার জন্য দোষারোপ করেনি। তারা কখনো তা করবেন কিনা তাও নিশ্চিত নয়।
রাশিয়া কেন অলিম্পিকের কম্পিউটার হ্যাক করেছে তার কারণ সম্পর্কে কেউ নিশ্চিত নন। কিন্তু, রাষ্ট্রীয়ভাবে রাশিয়ার খেলোয়াড়দের ডোপ বা মাদক দেয়ার অভিযোগে অলিম্পিকে নিষিদ্ধ করার সঙ্গে এই সাইবার হামলার সম্পর্ক রয়েছে। রাশিয়াকে অলিম্পিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করায় অলিম্পিক কমিটির সমালোচনা করতে পিছপা হয়নি দেশটি।
এবারের অলিম্পিকে রাশিয়ার অলিম্পিক ফেডারেশনের কাউকে উপস্থিত থাকতে দেয়া হয়নি। রাশিয়ার কয়েকজন খেলোয়াড়কে ‘রাশিয়া থেকে আসা অলিম্পিক অ্যাথলেট’ হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়। কিন্তু তারা তাদের পোশাকে রাশিয়ার পতাকা ব্যবহার করতে পারেননি। সেসব খেলোয়াড় কোনো পদক জিতলেও বাজানো হয়নি রাশিয়ার জাতীয় সঙ্গীত।
অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়া অলিম্পিক উপলক্ষে দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সাথে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নত করতে চেয়েছিল।
আগে অলিম্পিক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বক্তব্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের হ্যাকারদের পরিচয় জানলেও তা প্রকাশ করছেন না বলে মনে হয়েছে। সম্ভবত তারা বিশ্বজুড়ে সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য আয়োজন করা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন আরও বাড়িয়ে দেয়া এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সূত্র : পরিবর্তন।
আপনার মতামত লিখুন :