শিরোনাম
◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৮:৪২ সকাল
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৮:৪২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিশুকে শহীদি প্ররোচনা দিয়ে বিতর্কের মুখে এরদোয়ান

ডেস্ক রিপোর্ট: এক শিশুকে শহীদ হতে উদ্বুদ্ধ করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। তুরস্কের ক্ষমতাসীন একে পার্টির এক সম্মেলনে সেনাবাহিনীর পোশাক পরিহিত শিশুটিকে এরদোয়ান বলেন, ‘যদি সে শহীদ হয়, তাহলে তার ওপর পতাকা বিছিয়ে দেওয়া হবে’। ওই সময় সিরিয়ার আফরিনে কুর্দিদের বিরুদ্ধে অভিযানের কথা উল্লেখ করে তার সমর্থকরা বলে ওঠেন, ‘প্রধান! আমাদের আফরিনে নিয়ে চলুন’। কিন্তু টেলিভিশনে প্রচারিত ওই বক্তব্যকে ‘শিশু নির্যাতন’ ও ‍মৃত্যুর কীর্তন বলে অভিহিত করা হচ্ছে।

শনিবার ওই অনুষ্ঠান চলাকালে সেনাদের পোশাক পরা শিশুটি এরদোয়ানের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করলে তিনি তাকে মঞ্চে ডেকে নেন। তারপর এরদোয়ান শিশুটিকে বলেন, ‘দেখ, এখানে কী দেখতে পাচ্ছ! বালিকা, তুমি এখানে কী করছো? আমাদের এখানে মারোন বেরেটরা (তুরস্কের বিশেষ কমান্ডো বাহিনী) আছে, কিন্তু তারা কখনও কাঁদে না।’

এরদোয়ান আরও বলেন, ‘তার পকেটে তুরস্কের একটি পতাকাও রয়েছে। যদি সে শহীদ হয় তাহলে তার ওপর একটি পতাকা বিছিয়ে দেওয়া হবে, ইনশাআল্লাহ।’ মেয়েটির উদ্দেশে এরদোয়ান বলেন, সে এখন সবকিছুর জন্য তৈরি, তাই না?’ ওই সময় মেয়েটি উত্তর দেয়, ‘হ্যাঁ’। এরপর এরদোয়ান মেয়েটির মুখে একটি চুমু দিয়ে সেখান থেকে পাঠিয়ে দেয়। তবে মেয়েটির পরিচয় বা তার সেনাবাহিনীর পোশাক পরার কারণও জানা যায়নি।

টুইটার ব্যবহারকারী অনেকে এরদোয়ানের এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন। একজন একে ‘শিশু নির্যাতনে’র সঙ্গেও তুলনা করেছেন। আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘এটা লজ্জার, এটা খুবই খারাপ। সে এখন শিশু, আপনি তার মৃত্যু কামনা করতে পারেন না! আপনি এটার জন্য ইনশাআল্লাহ বলতে পারেন না!’

তবে এসব সমালোচনার কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি এরদোয়ান। বিবিসি তুরস্ক’র ওনুর এরেম বলেন, শহিদি বিষয়ে মন্তব্যের জন্য এর আগেও বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন এরদোয়ান। তুরস্কে দায়িত্বরত অবস্থায় মারা যাওয়া সব সেনা বা পুলিশ কর্মকর্তাকে শহিদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

নিহত সেনাদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান বা শিশুদের ব্যবহার করে অত্যন্ত রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ায় এরদোয়ানের সমালোচনা করে আসছে তার বিরোধিরা। তারা বলেন, এরদোয়ানের নিজের ছেলেরা সামরিক বাহিনী থেকে পালিয়ে গেছে। কিন্তু তার সমর্থকদের দেখে মনে হয় না তা নিয়ে তাদের কোনও চিন্তা আছে।

গত জানুয়ারিতে সিরিয়ার আফরিনে কুর্দি বাহিনীর বিরুদ্ধে অপারেশন ‘অলিভ ট্রি’ নামে অভিযান শুরু করেছে তুরস্ক। সেখানে তাদের মধ্যে লড়াই চলছে।  সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়