স্পোর্টস ডেস্ক: নিদাহাস ট্রফির জন্য ১৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। নিকট অতীতের মতো আজও একটি ব্যাপারে ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে নির্বাচক কমিটি, বিতর্কিত সিদ্ধান্ত। প্রশ্নবিদ্ধভাবে দলে নেওয়া হয়েছে বেশ কজনকে, আবার বাদ দেওয়া হয়েছে কাউকে কাউকে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন চেষ্টা করেছেন সে প্রশ্নের উত্তর মেলাতে।
১৫ জনকে নিয়ে দল গঠনের কথা থাকলেও সাকিব আল হাসানকে নিয়ে সৃষ্ট অনিশ্চয়তায় বিকল্প হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজকেও দলে রেখেছে বোর্ড। এ নিয়ে অবশ্য কারও কোনো আপত্তি নেই। যদিও আগের সিরিজেই সাকিবের বদলে মিরাজ নয়, আফিফ হোসেনকে দলে ডেকে এনেছিলেন এই নির্বাচকেরাই। তবে এ প্রসঙ্গ নয়, সবার আগ্রহ ইমরুল কায়েস, সাব্বির রহমান ও তাসকিন আহমেদকে নিয়ে।
গত কিছুদিন ধরে জঘন্য ফর্ম যাচ্ছে সাব্বিরের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত ৬ ইনিংসে ২০ রান করেছেন সাব্বির। এর মধ্যে টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ১ রান। কিন্তু মিনহাজুল আবেদীনের কাছে অভিজ্ঞতা দাম পাচ্ছে, ‘গত এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান তার। দু’টা অভিজ্ঞ দলের সঙ্গে খেলা। তাই ওকে বিবেচনা করা হয়েছে। আর পিএসএলেও গিয়েছে।’
পিএসএলে সাকিবের বদলি হিসেবে যাওয়া সাব্বিরকে মাঠেও নামতে হয়নি, এর মাঝেই দলে ডাক পেয়ে গেছেন এই ব্যাটসম্যান। তাই ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সাব্বিরের (১৪১) চেয়ে যে সৌম্য সরকার ৯৪ রান বেশি করেছিলেন সেটি নির্বাচকদের মনে করিয়ে দিয়েও মনে হয় না কোনো লাভ হতো।
সাব্বির তবু গত বছর টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। কিন্তু ২০১৭ সালে ৬ ম্যাচে ৫২ রান করা কিংবা ক্যারিয়ারজুড়ে ৯.১৫ গড়ের ইমরুলকে দলে রাখার যুক্তি কী মিনহাজুলের? ‘তৃতীয় ওপেনার হিসেবে। ফাস্ট বোলিংয়ে যারা ভালো ব্যাটিং করতে পারে, যেহেতু সে টেস্টে ওপেন করে। শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে ফাস্ট বোলারদের আধিক্য থাকবে বেশি। ভারতও যথেষ্ট ফাস্ট বোলার নিয়ে খেলে। সে কথা চিন্তা করেই নেওয়া হয়েছে।’ ক্যারিয়ারের দুই তৃতীয়াংশ সময় পেস বোলারের বলে আউট হয়েছেন ইমরুল। এতেই পেস বোলারের বিপক্ষে নিজের ক্ষমতা এমনভাবে প্রকাশ করেছেন যে টি-টোয়েন্টিতে ডাক পেয়ে গেলেন!
পেস বোলিংয়ের প্রসঙ্গেই চলে আসছে তাসকিনের কথা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আবার দলে ফিরেছেন তাসকিন আহমেদ। শ্রীলঙ্কা সিরিজ চলার সময়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে যদিও তেমন কিছুই করতে পারেননি তাসকিন। তবু তাঁকে দলে রাখার পক্ষে প্রধান নির্বাচকের যুক্তি, ‘অধিনায়কের একটা পছন্দ ছিল। প্রেমাদাসায় খেলা, মাঠ বড়। ভালো গতি আছে, ইয়র্কার ও শর্ট বল করতে পারে এমন খেলোয়াড় দরকার। অধিনায়ক যে পরিকল্পনা দিয়েছে সে অনুযায়ী তাকে নেওয়া হয়েছে। সবার (দল, নির্বাচক) সম্মতিতেই এসেছে।’
এক সাংবাদিক প্রিমিয়ার লিগে জাতীয় দলের বোলারদের মাঝে সবচেয়ে বাজে বোলিং তাসকিন করছেন দাবি তুললেও মিনহাজুল মানতে চাইলেন না, ‘দেশের যত ফাস্ট বোলার আছে, তাদের মাঝে তাসকিনের গতিই সবচেয়ে বেশি। এ জায়গায় আপনাদের যুক্তি মানব না। কারণ দল সবকিছু ভেবেই ১৬ জনকে বেছে নেয়। ম্যানেজমেন্টের একটা প্ল্যান আছে। সিরিজ নিয়ে ভেবেই কোনো খেলোয়াড়কে বেছে নেওয়া হয়।’ প্রথমআলো
আপনার মতামত লিখুন :