শিরোনাম
◈ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০১:৫৯ রাত
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০১:৫৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাতটি ব্যাংকে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি

আসাদুজ্জামান সম্রাট : দেশের সাতটি ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে রয়েছে। এরমধ্যে চারটি রাষ্ট্রয়ত্ত্ব ও তিনটি বেসরকারি ব্যাংক। গত বছরের সেপ্টম্বর পর্যন্ত এই সাতটি ব্যাংকে মূলধন ঘাটতির পরিমাণ ছিলো ৯ হাজার ৪১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। মূলধন ঘাটতিতে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ব চারটি ব্যাংক সোনালী, রূপালী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকের ঘাটতি সাত হাজার ৬২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং বেসরকারি তিনটি ব্যাংক কমার্স, ফারমার্স ও আইসিবি ইসলামি ব্যাংকের এক হাজার ৭৯১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

সোমবার বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এ তথ্য জানান। স্বতন্ত্র সদস্য আবদুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে সোনালী ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি তিন হাজার ১৪০ কোটি ৪১ লাখ টাকা, রূপালী ব্যাংকের ঘাটতি ৬৮৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা, জনতা ব্যাংকের ঘাটতি একহাজার ২৭২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা, বেসিক ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দুই হাজার ৫২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ঘাটতি ২৩১ কোটি ৩১ লাখ টাকা, ফারমার্স ব্যাংকের ঘাটতি ৭৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা এবং আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের ঘাটতি এক হাজার ৪৮৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা।

এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোকে ২০০৫-২০০৬ অর্থবছর থেকে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর পর্যন্ত সরকার ১০ হাজার ২৭২ কোটি টাকার পুনমূলধনীকরণ সুবিধা দিয়েছে। যা ইতিমধ্যে ব্যাংকগুলোতে মূলধন হিসাবায়নে যুক্ত হয়েছে।’ তিনি জানান, ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকে প্রভিশন ঘাটতি ছিল সাত হাজার ৫৬৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। এ সময়ে বেসরকারি ব্যাংকে উদ্বৃত্ত প্রভিশন রয়েছে এক হাজার ৭৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সামগ্রিকভাবে মোট ঘাটতি প্রভিশনের পরিমাণ ছিল ছয় হাজার ৩৪৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সোনালী ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি দুই হাজার ৯০০ কোটি ৯১ লাখ টাকা, রূপালী ব্যাংকের এক হাজার ২৪৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বেসিক ব্যাংকের তিন হাজার ৪২১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের ১৯৮ কোটি ৬২ লাখ টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংকের ঘাটতি ৮৬১ কোটি ৬১ লাখ টাকা, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১৫৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি ৮৯ কোটি ৯ লাখ টাকা।

জাতীয় পার্টির সদস্য সেলিম উদ্দিন-এর প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে ৬ হাজার ৯ শত ৩২ কোটি ৪০ লাখ টাকা রেমিটেন্স বৈধভাবে দেশে এসেছে। সবচেয়ে বেশী রেমিটেন্স এসেছে সৌদি আরব থেকে এক হাজার ২০১ কোটি ৪০ লাখ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে এক হাজার ১৩৮ কোটি ২০ লাখ টাকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়