শিরোনাম
◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ সাতক্ষীরায় এমপি দোলনের গাড়িতে হামলা ◈ চুয়াডাঙ্গার পরিস্থিতি এখন মরুভূমির মতো, তাপমাত্রা ৪১ দশমিক  ৫ ডিগ্রি ◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা

প্রকাশিত : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০১:১৬ রাত
আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০১:১৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাঙ্গুলিকে মধ্যরাতে ফোন করেছিলেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট

এল আর বাদল : ক্রিকেট মাঠের মহারাজা সৌরভ গাঙ্গুলি মাঠের বাইরে দেখে মনে হবে নেহাত ভদ্রলোক। মেপে মেপে কথা বলা আর ন¤্র স্বভাবের সৌরভকে দেখে মনে হতে পারে ‘এই লোক কোনো ব্যাংকের ম্যানেজার হলেই ভালো মানাতো। অন্তত ক্রিকেট ছাড়ার পরের সৌরভকে এমনটা মনে হওয়াটা বেশ স্বাভাবিক। তবে যখন ক্রিকেট খেলতেন তখন কিছুটা ‘বাউন্ডেলে’ ছিলেনও হয়তো।
কলকাতা মহারাজের আত্মজীবনী ‘আ সেঞ্চুরি ইজ নট এনাফ’ বইটিতে উঠে এসেছে এমন কিছু কথা। ২০০৪ সালের পাকিস্তান সফরের এক ঘটনা উল্লেখ করেছেন কলকাতার বাবু। সেই সফরে ভারতীয় দলের নেতৃত্বে ছিলেন সৌরভ। সফর চলাকালে নিরাপত্তাকর্মীসহ সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে কাবাব আর তন্দুরি চিকেন খেতে টিম হোটেল ছেড়েছিলেন ভারতের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। বিষয়টি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ সরাসরি ফোন করেছিলেন সৌরভকে।

নিজের আত্মজীবনীতে সৌরভ লিখেছেন, একদিন মাঝরাতে আমার বন্ধুরা মিলে প্ল্যান করছিল পাকিস্তানের গলমান্ডির বিখ্যাত ফুড স্ট্রিটে কাবাব ও তন্দুরি চিকেন খেতে যাবে। এটা শোনার পরে আমি লোভ সামলাতে পারিনি। সিকিউরিটি অফিসারকে না জানিয়ে বেরিয়ে পড়ি টিম হোটেল থেকে। সিকিউরিটি অফিসারকে বললে আমাকে যেতে দিতো না নিশ্চিত ছিলাম।’

‘টুপি পরে আমি হোটেলের পেছনের দরজা দিয়ে বাইরে বেরিয়ে যাই। ভয় ছিল যদি কেউ চিনে ফেলে। শেষ পর্যন্ত চিনেও ফেললো। একজন জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি সৌরভ গাঙ্গুলি না, আমি চাপাস্বরে ‘না’ বলে পাশ কাটিয়ে চলে গেলাম। তবে ফুড স্ট্রিটের ডিনার টেবিলে আমাকে চিনে ফেলেন ভারতের এক সাংবাদিক। তিনি উত্তেজনাবশত নাম ধরে জোরে ডাকতেই শোরগোল পড়ে গেল। চারদিক থেকে উৎসুক লোকজন আমাকে ঘিরে ধরে। হোটেলে বিল পরিশোধ করতে গেলে পাকিস্তানি ওই ম্যানেজার বিল নিতে অস্বীকার করেন। আমার মনে আছে ম্যানেজার বলছিলেন, আপনার মতো আগ্রাসী একজন অধিনায়ক পাকিস্তানের নেতৃত্বে চাই।

তিনি লিখেন, ‘ফুড স্ট্রিট থেকে মাঝরাতে গাড়িতে হোটেলে ফেরার পথে আরও বিপত্তি। আমাদের গাড়ির পেছনে সারি সারি বাইক নিয়ে চিৎকার করছিল উৎসুক জনতা। কোনো ধরনের সমস্যা ছাড়াই হোটেলে ফিরে আসি। তবে খবরটা পৌঁছে যায় প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফের কাছে। তিনি মধ্যরাতেই আমাকে ফোন করে বলেছিলেন, এভাবে অনিরাপদভাবে যেন আর না বের হই। পরেরবার কোথাও গেলে যেন নিরাপত্তারক্ষীদের জানাই। পাকিস্তানের অনিরাপদ পরিবেশে মাঝরাতে অ্যাডভেঞ্চার করা আমার ঠিক হবে না বলেছিলেন তিনি। -টোয়েন্টি ফোর লাইভ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়