লিহান লিমা: ইসরায়েলের নীতির প্রতিবাদে জেরুজালেমের গির্জা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের ঘোষণা দিল ফিলিস্তিনের খ্রিস্টান সম্প্রদায়। চার্চের নেতারা বলেন, ইসরায়েল বৈষম্যমূলক নীতি গ্রহণ করে চার্চের ক্ষমতা খর্ব করছে ও এই পবিত্র শহরে খ্রিস্টানদের উপস্থিতি দুর্বল করতে চাইছে।
সম্প্রতি ইসরায়েলের পার্লামেন্টে পাশ করা বিলে চার্চের সম্পত্তি কোন ব্যক্তিগত কোম্পনিকে ইজারা দেওয়ার বিষয়ে ইসরায়েল রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব দেওয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে ইসরায়েল চাইলে কোনও কোম্পানিকে গির্জার সম্পদ ইজারা দিতে পারবে ও চার্চের ওপর কর আরোপ করতে পারবে।
রোববার এক বিবৃতিতে রোমান ক্যাথলিক, আর্মেনিয়ান ও গ্রিক অর্থোডক্স গির্জার নেতারা গির্জার ওপর কর আরোপের এই সিদ্ধান্তের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
খ্রিস্টান সম্প্রদায় জানান, যিশু খ্রিষ্টের এই সমাধিসৌধ খ্রিস্টানদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র স্থান। এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক চুক্তির লঙ্ঘন, যেখানে গির্জাকে নিজের ওপর অধিকারের ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের প্রধান সমন্বয়কারী সায়েব ইরকাত বলেন, এই সিদ্ধান্ত আমাদের আবারও ইসরায়েলি দখলদারিত্ব বন্ধ করার প্রয়োজনিয়তা মনে করিয়ে দেয়।
প্রসঙ্গত, যিশুর সমাধিসৌধ ইসরায়েলের দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, যিশুকে এখানে ক্রুশবিদ্ধ ও সমাধিস্থ করা হয়েছিল। আল জাজিরা।
আপনার মতামত লিখুন :