শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:৪৩ সকাল
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:৪৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরিষা চাষ করে সফলতা পাচ্ছেন কৃষকরা

তৌহিদুর রহমান নিটল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট ও কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুষ্টি নিরাপত্তার লক্ষ্যে জাত উদ্ভাবন কর্মসূচির অর্থায়নে উন্নত জাত বিনাসরিষা-৪ চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষকরা। বর্তমানে দেশে ভোজ্য তেলের প্রায় সবটাই আমদানি নির্ভর তবে বিনাসরিষা চাষ করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও ভোজ্য তেল রপ্তানি করা সম্ভব বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবাসহ কয়েকটি উপজেলায় বেশ কয়েকটি গ্রামে বিনা পুষ্টি নিরাপত্তার লক্ষ্যে জাত উদ্ভাবন কর্মসূচির অর্থায়নে উন্নত জাতের বিনা-৪ সরিষা বপন করে সফলতা পেয়েছে এলাকার কৃষকরা। মৌসুমের আমন বোরো ফসলের অতিরিক্ত এই সরিষা উৎপাদন করে যেমন কৃষকরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে। তেমনি বর্তমানে ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণও সম্ভব। বর্তমানে বছরে ১৮ লক্ষ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল আমদানি করে সরকারকে ১.৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হয় তারপরও বাজারে যে ভোজ্য তলে পাওয়া যায় তাতে পামঅয়েল মিশানো থাকে।

এদিকে উন্নত জাতির বিনাসরিষা আমন ও বোরো ফসলের মওসুম শেষে অতিরিক্ত ফসল হিসেবে প্রতি হেক্টর জমিতে ৮০/৮৫ দিনে ১৫ থেকে ১৮মন বিনা সরিষার ফলন পাওয়া যায়। এতে দেশের ভোজ্য তেলের চাহিদা অনেকটা পুষিয়ে নেয়া সম্ভব বলে
মনে করেন কৃষিবিদদের।

বেশ কয়েকজন কৃষকরা জানান, মৌসুমী ফসল হিসাবে এ জাতের সরিষা চাষ করে এক দিকে যেমন ফলন বেশি হচ্ছে অন্যদিকে অতিরিক্ত ফসল পাওয়ার ফলে আর্থিকভাবে আমরা লাভবান হচ্ছি। আমরা কৃষি অধিদপ্তরের সহযোগিতায় জেলার কয়েকটি উপজেলাতে বিভিন্ন গ্রামে বুরো ও আমন ধানে মধ্যবর্তী সময়ে বিনা-৪ সরিষা চাষে অধিক ফলনে সাড়া পাচ্ছি।

কৃষি সম্প্রসারণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিভাগের উপ-পরিচালক আবু নাছের বলেন, বিনা সরিষা চাষে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ বাড়ছে। তারা এ ফসল করে লাভবান হচ্ছে। এই চাষে সফলতা পেতে সংশ্লিষ্টরা আরো সহয়তার হাত প্রসারিত করবে এমন প্রত্যাশা আমাদের।

বিনা উপকেন্দ্র, কুমিল্লা উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসা. সিফাতে রাব্বানা খানম বলেন, বিনা সরিষা চাষ করে কৃষক যেমন লাভবান হবে তেমনি দেশের আর্থিক উন্নয়নও হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়