শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত

প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ দুপুর
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিম্ন আদালতের নথি আসার পর আদেশ: হাইকোর্ট

সারোয়ার জাহান: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। নিম্ম আদালত থেকে রায়ের নথি পাওয়ার পর এ বিষয়ে আদেশ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার দুপুরে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আদেশ দেন।

এর আগে, খালেদা জিয়ার সাজার বিরুদ্ধে করা জামিনের ওপর শুনানির শুরুতেই এজলাস ছেড়ে যায় হাইকোর্ট বেঞ্চের দুই বিচারপতি।

রোববার দুপুর ২টা ১২ মিনিটে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি শহিদুল করিম বেঞ্চে বসেন। তখন আদালতকক্ষ ছিল আইনজীবীতে পরিপূর্ণ। কোথাও কোনো তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। আইনজীবীরা নিজেদের মধ্যে কথা বলায় কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না।

এ অবস্থায় আদালত দুই পক্ষের আইনজীবীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আদালত কক্ষ কানায় কানায় আইনজীবী দিয়ে পূর্ণ। এ রকম হলে তো শুনানি করা যাবে না।’

তখন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও খালেদা জিয়ার প্যানেল আইনজীবী জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘মাননীয় আদালত, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ মামলা।

আইনজীবীরা কেউ কোনো শব্দ করবেন না।’

আদালত বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে প্রেশার তৈরির একটা চেষ্টা।’

তখন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘না, না। আইনজীবীরা কেউ কোনো আওয়াজ করবেন না।’

আদালত এই পর্যায়ে বলেন, ‘তাহলে আপনার জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা কক্ষে থাকেন। বাকিরা বাইরে চলে যান।’

তখন জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘এই জামিনে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল একাই শুনানির ক্ষমতা রাখেন।’

আদালত তখন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আপনারা কক্ষ খালি করুন। আমরা ১০ মিনিট পর এজলাসে বসব।‘

তখন দুই বিচারপতি এজলাস ত্যাগ করে খাস কামরায় চলে যান। আদালত কক্ষ থেকে জুনিয়ার আইনজীবীরা বেরিয়ে যান। আড়াইটায় ফের আদালত বসলে জামিনের শুনানি শুরু হয়।

কারাবন্দি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর জামিন হচ্ছে কি না, তা জানার আগ্রহ রয়েছে গোটা দেশের মানুষের। আজকে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানির জন্য ব্যারিস্টার রফিকুল হক উপস্থিত হয়েছেন।

খালেদা জিয়া জামিন পাবেন, নাকি জামিন নাকচ হয়ে কারাগারেই থাকবেন—তা জানার জন্য সবার দৃষ্টি এখন আদালতে। সর্বোচ্চ আদালত জামিন মঞ্জুর করলে কারাগার থেকে খালেদা জিয়া কি আজই ছাড়া পাবেন, নাকি আরো সময় লাগতে পারে—সে আলোচনাও এখন সবার মুখে মুখে।

গত ২২ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জামিন আবেদনের ওপর শুনানির জন্য আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করেন। স্থগিত করেন খালেদা জিয়ার অর্থদণ্ড।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম। খালেদার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়