শিরোনাম
◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:৪৭ সকাল
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৪:৪৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করলা চাষে ফরিস’র সাফল্য

সৌরভ কুমার ঘোষ, কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামের চিলমারীর ফরিস করলা চাষে করেছে জয়। এই করলা চাষে ভাগ্য ফিরতে শুরু করেছে তার পরিবারের। দেখছে তারা এখন সুখের ঠিকানা। পরিবারের মাঝে ফিরে এনেছে স্বচ্ছলতা। কৃষি অফিস থেকে সুবিধা না পেলেও নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে হয়ে উঠেছেন লাখোপতি।

করলার পাশাপাশি বিভিন্ন সবজি, চারা চাষ ও বিক্রি করে সাফল্য অর্জন করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন বেশ আগে থেকেই। মাত্র ৬৩ শতক জমিতে তিনি করলার পাশাপাশি সবজি ছাড়াও ধানের চারা তৈরিসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করেই আজ দুঃখ দিয়েছেন দূরে ঠেলে।

ফরিস সরকার কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ঠগেরহাট এলাকার মৃত ছলিম উদ্দিনের ছেলে। ৫ ভাই বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। সংসারের কাজের চাপে তেমন লেখাপড়া করতে না পারায় এক সময় স্ত্রী সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে অনেক কষ্টে গ্রামীণ ব্যাংকে পিওনের চাকুরী নেন। বেশকিছু বছর চাকুরী করার পর এক সময় সেই চাকুরীটিও ছাড়তে হয়। চাকুরী ছেড়ে দেওয়ায় পর পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজ জমিতে শ্রম দিয়ে শুরু করেন করলাসহ বিভিন্ন সবজি চাষের। পাশাপাশি চারা তৈরি করে বিক্রি শুরু করেন। আর অতিদ্রুত দেখা পান সাফল্য।

নিজে লেখাপড়া করতে না পারলেও ৪ মেয়েকে পিছিয়ে পড়তে দেন নি দিয়েছেন শিক্ষা। ইতোমধ্যে দুই মেয়ে বিয়ে দিলেও বাকি দু’জনকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চালিয়ে যাচ্ছেন চেষ্টা।

ফরিস সরকার জানান, কষ্ট ছিল, ছিল দুঃখ আর অভাব ছিল পিছে আর আজ তা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি এটাই আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া।

তিনি আরো জানান, ৬৩ শতাংশ জমিতে প্রতি বছর করলায় ৩০/৪০ হাজার টাকা ছাড়াও বিভিন্ন সবজি ও ধানের চারা বিক্রি করে প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা আমি ঘরে তুলতে পারতেছি এছাড়াও নিজের জমির তাজা সবজি প্রতিদিনের আহার হচ্ছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের আর কে সহযোগীতা করবে, এছাড়াও কৃষি অফিস থেকে কোন সুবিধাও পাই না তবে মাঝে মধ্যে এলাকার কিছু ব্যক্তিরা এসে পরামর্শ দিয়ে যায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়