স্বাধীনতাকামী শিখ সম্প্রদায়ের খলিস্তান আন্দোলনে কানাডার সহানুভুতির অভিযোগ নিয়ে বিতর্ক আছে। সে বিতর্কই আবার দেখা দিয়েছিল কানাডার প্রধানমন্ত্রীর এবারের সপরিবার ভারত সফরেও।
এ সপ্তাহের শুরু দিকে অভিযুক্ত এক শিখ চরমপন্থিকে সরকারি ভোজসভায় আমন্ত্রণ জানিয়ে কানাডা বিরাগভাজন হয়েছিল ভারতের। ওই আমন্ত্রণ পরে প্রত্যাহার করা হলেও অসন্তোষ কাটেনি।
আর তাই প্রথম রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে নামার পর যথাযথ রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা পাননি ট্রুডো। ভারত সরকারের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাকে উপেক্ষা করেছেন। বিমানবন্দরে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে যাননি মোদী। যেখানে অন্য দেশের সরকার প্রধানদেরকে মোদী নিজেই অভ্যর্থনা জানাতে যান।
ট্রুডোর ক্ষেত্রে ৫ দিন পর নীরবতা ভেঙে তাকে টুইটারে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন মোদী। আর এরপরই শেষ পর্যন্ত দুই পক্ষের শীতল সম্পর্ক আবার উষ্ণ হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী দেখা করেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। বৈঠকের আগে ট্রুডোকে বুকে জড়িয়ে ধরে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন মোদী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী এদিন টুড্রোকে এও জানিয়ে দিয়েছেন যে, রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ধর্মের অপব্যবহার এবং বিচ্ছিন্নতাবাদকে মদত দেওয়া কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না।
বিতর্কের রেশের মধ্যেই শুক্রবার শক্তি ক্ষেত্রে সহযোগিতা-সহ মোট ৬টি চুক্তি হয়েছে ভারত ও কানাডার মধ্যে। গুরুত্ব পেয়েছে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা সম্পর্ক, বেসামরিক ক্ষেত্রে পরমাণু সহযোগিতা, শিক্ষা, মহাকাশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো।
বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘‘আমরা প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছি। সন্ত্রাসবাদ ও কট্টরপন্থা আমাদের মতো দেশগুলোর জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। আর এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্যই আমাদের একজোট হওয়া প্রয়োজন।’’
ওদিকে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেন, বৈঠকে দু’দেশের নাগরিকদের মধ্যে যোগাযোগ আরো নিবিড় করে তোলার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। কানাডায় ১৩ লাখ ভারতীয় বংশোদ্ভূত থাকেন। তাদের স্বার্থরক্ষার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে। সূত্র : বিডিনিউজ
আপনার মতামত লিখুন :