আব্দুর রাজ্জাক: সম্প্রতি ভারতের আমদানি শূল্ক বৃদ্ধিতে উদ্বেগ জানিয়েছে ইউরোপিয় কোম্পানি ও যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সিদ্ধান্তের দরুন যুক্তরাষ্ট্র দেশটিকে তাদের সাথে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে শুক্রবার শূল্ক কমানোর আহ্বান জানিয়েছে।
ভারত গত ডিসেম্বরে আমদানিকৃত বৈদ্যুতিক পন্যের উপর শূল্ক বৃদ্ধি করেছিল। এ মাসে গ্লাস ও গাড়ীসহ আরও ৪০টি পণ্যের উপর তা প্রসারিত করা হয়েছে। দেশটি তাদের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সুযোগ দিতে ও বেকারদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে আমদানি পন্যের উপর কর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে একজন মুখপাত্র।
দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানের কোন প্রতি উত্তর বা জবাব দেয়া হয়নি। তবে মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে বলেন, শূল্ক বৃদ্ধি বিশ্বে প্রভাব ফেলতে পারে। যখন চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মত রাষ্ট্রগুলো এখন আত্মরক্ষা মূলক পদক্ষেপ নিচ্ছে তখন আমরা কেন এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছি বলে সরকার বরাবর প্রশ্নও রাখেন তিনি।
কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুরোধে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের হার্লে-ডেভিডসান বাইকের উপর আরোপিত কর ৭৫ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিলেও তিনি খুশি হননি। কারণ ভারতীয় বাইকগুলো যুক্তরাষ্ট্রে কোন শূল্ক ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে তাই তিনিও তেমনি সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করেছিলেন।
মার্কিন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফর্ডের ভারতীয় প্রধান অনুরাগ মেহরোত্রা বলেন, আমরা ভারতে ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়গ করেছি তাই সরকারের উচিৎ সিদ্ধান্তটি পূনর্বিবেচনা করা।
জার্মান ভিত্তিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের ভারতীয় প্রধান আন্দ্রেস লোয়ারম্যান বলেন, নতুন শুল্কারোপের দরুন ভারতে ভবিষ্যত বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কারণ নতুন শূল্ক বৃদ্ধিতে গাড়ীর মূল্য প্রায় ৪ শতাংশ বেরে যাবে যা গাড়ী শিল্পকে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন করবে। ইয়ন টিভি
আপনার মতামত লিখুন :