শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০১:০১ রাত
আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০১:০১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানীরা সস্তা চা কেনে, যা বাংলাদেশের মানুষ পান করে না

মতিনুজ্জামান মিটু : পাকিস্তানীরা সস্তা চা কেনে, যা বাংলাদেশের মানুষ পান করে না। বাংলাদেশের মার্কেটে এই চা চলেও না। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানী হওয়া নিন্মগ্নেডের সস্তা চায়ের বেশির ভাগই পাকিস্তানের বায়াররা কিনে থাকে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপরিচালক ( পরিকল্পনা) মুনির আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ পাকিস্তানীদের চেয়ে রুচি ও সংস্কৃতিতে অনেক এগিয়ে। যত গরীবই হোক বাঙালীরা বাজার থেকে ভাল জিনিসটাই কিনতে চায়। অথচ অসংস্কৃতিবান পাকিস্তানীরা বাজারে সস্তা জিনিস খোঁজে। রুচি ও সংস্কৃতিতে পিছিয়ে পড়া অসংস্কৃতিবান কোনো জাতি উন্নত রুচি সংস্কৃতির অধিকারিদের ওপর দীর্ঘদিন প্রাধান্য বিস্তার করতে পারে না। একারণেই আমরা তাদের সঙ্গে থাকতে না পেরে স্বাধীন হয়েছি।

বাংলাদেশের মানুষের রুচি সংস্কৃতি ক্রমাগত উন্নত হওয়ায় এবং জনসংখ্যার সঙ্গে সক্ষমতা বেড়ে যাওয়ায় গত ১০ বছরে আভ্যন্তরীণ ভোগের পরিমান ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। ২০০৮ সালে দেশে আভ্যন্তরীন ভোগের পরিমান ছিল ৫২.১২ মিলিয়ন কেজি। ২০১৭ সালে দাঁড়ায় ৮৫.৯৩ মিলিয়ন কেজিতে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আভ্যন্তরীণ ভোগের পরিমাণ ছিল ৫৩.৭৪ মিলিয়ন কেজি, ৫৭.৬৩, ৫৮.৫০, ৬১.১৯, ৬৪.০০, ৬৭.১৭, ৭৭.৫৭ ও ৮১.৬৪ মিলিয়ন কেজি।

বোর্ডের বিপনন কর্মকর্তা আহসান হাবিব বলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রেকর্ড পরিমান ২ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন কেজি চা রপ্তানী হয়। এর অধিকাংশই পাকিস্তানী বায়াররা কেনে। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রে যায় কিছু বিশেষ ধরণের চা। বাংলাদেশে গুনমান সম্পন্ন চা উৎপাদন হওয়ায় বিদেশে এর কদর বাড়ছে। এই সঙ্গে চাহিদা অনুযায়ী কমদামের চায়ের যোগান দেয়ার সক্ষমতায়ও চা রপ্তানী বেড়েছে। ২০১৭ সালে মেঘনা ও ফিনলে উল্লেখযোগ্য পরিমান চা পাকিস্তানী বায়ারদের কাছে বিক্রি করে। ভাল দামও পায় তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়