ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক : ভাষার মাস ফেব্রুয়ারী। আমাদের দেশের একটি অন্যতম ইতিহাস হল ২১শে ফেব্রুয়ারী । আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষা আন্দোলনের ষাট বছর কেটে যাওয়ার পরও আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত তেমন কোন উল্লেখযোগ্য তালিকা করা হয়নি আমাদের ভাষা সৈনিকদের নিয়ে। গত আট বছর আগে হাইকোর্টে এ বিষয়ে একটি মামলার রায়ে বলা হয়, তাদের জন্য একটি সুস্পষ্ট তালিকা তৈরি করার কথা। হাইকোর্টের মামলার রায় এখন পযর্ন্ত মানা হচ্ছে না। এতে একটি দায়িত্ব ও কর্তব্য ভঙ্গ করা হচ্ছে। কিন্তু হাইকোর্টের রায়ের চাইতেও বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমাদের চেতনার জায়গাটি। ’৫২ সালে আমাদের দেশে ভাষার জন্য আন্দোলন হয়েছে।
মানুষ তখন নিজের মূল্যবান প্রাণের বিনিময়ে আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য যে মহান ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা করলো, তাদের জন্য আমরা কী করলাম? ভাষা আন্দোলনের জন্য যারা চেষ্টা করেছে, তাদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা হয় নাই বলে এ ইতিহাস আমরা বাঁচিয়ে রাখতে পারছি না। তার দায়-দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরকেই বহন করতে হবে। সে জায়গা থেকে এবিষয়ে আমাদেরকে কাজ করতে হবে।
আদালতের রায় কিন্তু আমাদেরকে সেই কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে। আমাদের উপর যে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে তা-ই কিন্তু আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। আমরা আমাদের উপরে ন্যস্ত দায়িত্ব পালন করবো, এই প্রতিজ্ঞাই আমাদের এবারের একুশে ফেব্রুয়ারীতে হওয়া উচিত। আজকের দিনটি আমাদের জন্য প্রতিজ্ঞা গ্রহণের দিন, অর্পিত দায়িত্ব পালনের দিন।
বায়ান্নোর এই একুশ থেকে আমাদের স্বাধীনতার পথ চলা শুরু হয়। সুতরাং এদিন থেকেই আমরা প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হই, বাংলার সর্বত্রই বাংলার ব্যবহার নিশ্চিত করব। এথেকে যেন আমরা পিছপা না হই, এই কামনা করি। আর মাতৃভাষার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
পরিচিতি : সাবেক ভিসি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মতামত গ্রহণ : শাখাওয়াত উল্লাহ
সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :