নূহ-উল-আলম লেনিন : দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার আগ মুহূর্তে বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেছে। গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করে, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন করা হয়েছে তারেক রহমানকে। অথচ তারেক রহমানও একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামী এবং বিদেশে পলাতক। তাদের এই গঠনতন্ত্র পরিবর্তন এবং একজন দুর্নীতিবাজকে চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে মানুষের মনে বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর মন্তব্য থাকতেই পারে।

এসব নিয়েও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি একজন দুর্নীতিবাজ কে দায়িত্ব যেমন দিতে পারে, তেমনি অন্যদের কথা বলারও অধিকার আছে। বিএনপির গঠনতন্ত্রে কি হবে, না হবে তার স্বাধীনতা বিএনপির অবশ্যই আছে। কিন্তু বিএনপির ব্যাপারে সাধারন জনগণ এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিও তো আছে, তারা তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গিও ব্যক্ত করতে পারে। বিএনপি যদি দুর্নীতিবাজদের দলে রাখে এবং দায়িত্ব দেয়, তাহলে রাখুক।

আমরাও তাহলে ধরে নিব যে, বিএনপি দলটি যারা দুর্নীতিপরায়ণ এবং সাজা প্রাপ্ত, তাদেরকেই ক্ষমতা প্রদান করার জন্য রাখা হয়েছে। এটা করার অধিকার তো তাদের আছেই, আমারও বলার অধিকার আছে যে, তারা এই অন্যায় কাজ টি করেছে। যখন পরক্ষণেই সততার দাবী করা হবে, পরক্ষণেই যখন বলা হবে, এই মামলা টি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, তখনই তো আমাদের প্রশ্ন, যদি মিথ্যা মামলাই দেওয়া হয়, তাহলে তাদের এত ভয় কেন? আপনারা অপেক্ষা করেন। আর বিএনপির মধ্যে কি আর কোন লোক ছিল না? সাজাপ্রাপ্ত এবং পলাতক আসামী তারেক রহমানকেই দলের ভারপ্রাপ্ত করতে হবে কেন?

পরিচিতি : সাবেক সভাপতি ম-লির সদস্য, আওয়ামী লীগ/মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ