ডেস্ক রিপোর্ট : ডিজিটাল বাংলাদেশের শ্লোগান নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল ডিপ্লোমেসির বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে।
বিশ্বের প্রায় সব সরকার ডিজিটাল ডিপ্লোমেসি তথা সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন টুলস, যেমন— ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউব ব্যবহার করে তথ্য জানিয়ে থাকে, সেখানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিজিটাল ডিপ্লোমেসির বিষয়টি চরমভাবে অবহেলিত।
এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনও পরিকল্পনা আছে কিনা, তাও পরিষ্কার নয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট প্রায় চার মাস আগে খোলা হয়। সেখানে মাত্র দুটি টুইট আছে— যা করা হয়েছে গত ৬ নভেম্বর। ওই অ্যাকাউন্টে দেখা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজে ৬২টি টুইটার অ্যাকাউন্টকে অনুসরণ করে। এর বিপরীতে মন্ত্রণালয়ের অ্যাকাউন্টের অনুসারী সংখ্যা মাত্র ১৫টি।
এছাড়া, মিনিস্ট্রি অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স-ঢাকা, নামে একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। কিন্তু সরকারের এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজটি ভেরিফায়েড নয়।
দেখা যাচ্ছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে সর্বশেষ পোস্ট দেওয়া হয়েছে গত ৬ ফেব্রুয়ারি। অর্থাৎ পেজটি নিয়মিত ব্যবহার করা হচ্ছে না।
এদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কোনও ইউটিউব অ্যাকাউন্ট নেই। ফলে মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও, যেমন— বিভিন্ন সাক্ষাৎকার বা সংবাদ সম্মেলনের ভিডিওগুলো অনলাইনের মাধ্যমে ব্যাপকহারে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ হচ্ছে না।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজএ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, ডিজিটাল ডিপ্লোমেসি বিষয়টি আমাদের কাছে কখনও তেমন গুরুত্ব পায়নি।
একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বিষয়টি দেখাশুনার জন্য মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগে জনবল খুবই কম। সেখানে একজন সহকারী সচিব পদায়ন করা আছে। কিন্তু তাকে একইসঙ্গে অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’
মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার বিভাগের (এক্সটার্নাল পাবলিসিটি) কাছে আইসিটি বিভাগের সার্বিক দায়িত্ব দেওয়া হলেও এ বিভাগের কর্মকর্তাদের ডিজিটাল জ্ঞানের অভাব রয়েছে। ফলে গোটা প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়ে ওঠে না বলে জানান মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা।
আপনার মতামত লিখুন :