ইমরুল শাহেদ : ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের (ডব্লিউিএসজে) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানকে ফিন্যান্সিয়াল এ্যাকশন টাস্ক ফোর্সের (এফএটিএফ) পর্যবেক্ষণ তালিকায় ফেলতে চেষ্টা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সেটা আটকে দিয়েছে চীন, সৌদি আরব ও তুরস্ক।
ডব্লিউিএসজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরব ও ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যে এটাই একটা বিরল গরমিল। পারস্য উপসাগরে সৌদি আরবই হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রধানমিত্র। তারা গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিলের (জিসিসি) হয়ে কাজ করে থাকে। পাকিস্তান সম্প্রতি জিসিসি দেশগুলোর সঙ্গে মুক্ত বাজার অর্থনীতি চুক্তির একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। যদি সেটা হয়ে যায় তাহলে মধ্যপ্রাচ্যে পাকিস্তান চাল, মাংস এবং ফলের একটা বড় বড় বাজার পাবে। প্যারিসে অনুষ্ঠিত এফএটিএফের বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানকে সন্ত্রাসীদের অর্থায়নের পর্যবেক্ষণ তালিকায় ফেলতে। এফএটিএফ হলো একটি আন্তর্জাতিক আন্তঃসরকার পদ্ধতি, যা অর্থপাচার ও সন্ত্রাসীদের অর্থায়নের বিষয় দেখাশোনা করে।
ডবিøউএসজের প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ত্রাসী অর্থায়নের তালিকায় পাকিস্তানকে ফেলা হলে দেশটির অর্থনীতি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এতে আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠীকে পাকিস্তান ত্যাগ করতে হতো। ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড ধরে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রকল্পে চীন প্রচুর অর্থ লগ্নী করেছে। সুতরাং পাকিস্তানের স্বার্থ তারা দেখবেই। তুরস্কও পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের মিত্র। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, এফএটিএফের বৈঠকে পাকিস্তানকে তিন মাসের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর আগে পাকিস্তান এফএটিএফের পর্যবেক্ষণ তালিকায় ছিল ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত। ইয়ন টিভি
আপনার মতামত লিখুন :