আহমেদ ইসমাম : মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার বিরল রোগে আক্রান্ত আব্বাস শেখের ২৪ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী বড় বোন শারমীন আক্তার এবং ফুফু শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী ৪০ বছর বয়সী ইসমত আরার চিকিৎসারও দায়িত্ব নিয়েছেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব (স্বাচিপ) ও ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের এন্ড হসপিটালের চিফ ইক্সিকিউটিভ অফিসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ ।
বৃহস্পতিবার সকালে আব্বাসের বাবা রাজ্জাক শেখের পারিবারিক ইতিহাসে শুনে তিনি এ সিদ্ধান্ত জানান।
স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ বলেন, আমি আব্বাসের বোন ও ফুফুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিচ্ছি। এজন্য তিনি মাদারীপুর জেলা শাখার স্বাচিপের মহাসচিব ও মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. শশাঙ্ককে ফোন করে রাজ্জাক শেখের বোন বাক প্রতিদ্বন্দ্বী ইসমত আরা ও প্রতিবন্ধী মেয়ে শারমীনকে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দেন।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আরএমও ডা শশাঙ্ক অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজকে আশস্ত করে বলেন, রাজ্জাক শেখের মেয়ে ও বোনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ বলেন, রাজ্জাক শেখের মেয়ে ও বোনের চিকিৎসা মাদারীপুর সদর হাসপাতালে যদি সম্ভম না হয় তবে, তাদের ঢাকায় আনা হবে। এর আগে গত সোমবার ও মঙ্গলবার (১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮) বিরল রোগে আক্রান্ত আব্বাসকে নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদ প্রতিষ্ঠানটির চিফ ইক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম এ আজিজ স্যারের নজরে আসে।
এসব সংবাদ দেখার পর বিরল রোগে আক্রান্ত মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১৩ বছরের কিশোর আব্বাস শেখের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবার ইচ্ছা পোষণ করেন । নির্দেশনা পেয়ে হাসপাতালের পক্ষ থেকে আব্বাস শেখের বাবা রাজ্জাক শেখের সাথে যোগাযোগ করা হয়। সামগ্রিক বিষয় জানার পর রাজ্জাক শেখ আব্বাসকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটালে দেওয়া চিকিৎসা সেবার সুযোগ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত জানান।
বুধবার সাড়ে তিনটায় রাজ্জাক শেখ আব্বাসকে নিয়ে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ এন্ড হসিপিটালে আসলে প্রথমে জরুরি বিভাগ ও পরে সার্জারী বিভাগে ভর্তি করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :