জান্নাতুল ফেরদৌসী: এ যেন মহাজনী ফাঁদ। লাখ টাকা ঋণ দিয়ে কোটি টাকা দাবি। অভাবের তাড়নায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩ কর্মচারী। তারা ঋণ নেন ২ লাখ টাকা করে। অভিযোগ আছে ছলচাতুরী করে এখন ঋণের টাকা দেখানো হয়েছে এক কোটিরও বেশি।
স্বল্প বেতনের কর্মচারীদের কিভাবে এত টাকা ঋণ দিলেন মহাজন তা নিয়ে আলোচনা কিশোরগঞ্জ জুড়ে।
তাড়াইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চতুর্থশ্রেণীর ৩ কর্মচারী হলেন- রেখা বেগম, সাবনিয়গী আর সুশীলা রানী সূত্রধর প্রায় ২ লাখ টাকা ঋণ নেন স্থানীয় মহাজন রতন ভূইয়ার কাছ থেকে। ২ বছর ধরে তারা পরিশোধ করছেন সুদসহ ঋণের কিস্তিও। সহজ সরল এই ৩ জনের কাছ থেকে ফাঁকা চেকে স্বাক্ষরও নিয়ে রাখেন মহাজন।
এক পর্যায়ে রতন ভূইয়া ৩ জনের কাছ থেকে কোটি টাকারও বেশি দাবি করে বসেন। ফাঁকা চেকে ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা বসিয়ে তা ডিজওনারও করান।
৩ কর্মচারী এতো টাকা নেন নি দাবি করলে। উল্টো উকিল নোটিশ পাঠিয়ে হেনস্তা করছেন বলে অভিযোগ তিন ভুক্তভোগীর।
স্বল্প বেতনের কর্মচারীকে এত টাকার ঋণ দেয়ার কারণ জানতে চাইলে কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেনি রতন ভুইয়া। উল্টো তিনি দেখান ক্ষমতার জোর।
কিশোরগঞ্জ সিভিল সার্জন হাবিবুর রহমান বলেন, নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারী যদি ৩৬, ৩৮ বা ৪৮ লাখ টাকা ঋণ চায় কারো কাছে আর মহাজন সাথে সাথে ঋণটা দিয়ে দিবেন এটা সবার কাছে অবিশ্বাস্য।
কিশোরগঞ্জ পিপি অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক বলেন, নিম্ন আয়ের কর্মচারীকে হেনস্তা করলে আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে। সূত্র: যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :