ডেস্ক রিপোর্ট : শ্রীলঙ্কায় বুধবার একটি যাত্রীবাহী বাসে গ্রেনেড বিস্ফোরণে ১২ সেনাসদস্যসহ ১৯ জন আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের পর বাসটিতে আগুন ধরে গেলে তারা আহত হন। হামলার পর পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী রানিল ভিকারামাসিংহে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, একজন যাত্রীর ব্যাগে থাকা গ্রেনেড বিস্ফোরিত হয়েছে। এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
উত্তরাঞ্চলীয় জাফনা উপদ্বীপ থেকে দিয়াথালাওয়া শহরে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী বাসটি। পথিমধ্যে গ্রেনেড বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই দিয়াথালাওয়া শহরেই শ্রীলঙ্কার প্রধান সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি অবস্থিত।
সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র সুমিথ আতাপাত্তু রয়টার্সকে বলেন, এটা কোনও সন্ত্রাসী হামলা হতে পারে; এ ধরনের আশঙ্কা আমরা নাকচ করে দিচ্ছি। কোনও হামলার ফলে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। আমরা এটা বলতে পারি যে, কেউ বেআইনিভাবে একটি গ্রেনেড বা এ জাতীয় কিছু বহন করছিল। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার প্রায় তিন দশকের গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। এরপর থেকে দেশটির সামরিক বাহিনী আর কোনও হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়নি। বুধবারের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে পরিকল্পিত হামলার আশঙ্কা করা হলেও শেষ পর্যন্ত কর্মকর্তারা এমন আশঙ্কার কথা নাকচ করে দেন। সূত্র : বাংলাট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :