আহমেদ জাফর : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জানুয়াতিতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা সিলেট শাহাজালাল (রহঃ) মাজার জিয়ারতের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। এরপর বরিশাল যান ৮ ফেব্রুয়ারি, আগামী ৩মার্চ যাবেন খুলনায়। বিএনপর ধ্বংসাত্মক কর্মকানণ্ড ও দুনীতির মামলায় খালেদা জিয়া জেলে। এ বিষয়টিকেই প্রধান ইস্যু করে প্রচারণা করবে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাছিম আমাদের অর্থনীতিকে বলেন, এবছর নির্বাচনী বছর। এই নির্বাচন আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জের। তাই সারা বছর আমরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাবো। আগামী নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপির ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড, এতিমের টাকা লুট, তারেক রহমানের দুর্নীতি, বঙ্গবন্ধুর ছবির ও শহীদ মিনারে হামলার চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে নাছিম বলেন, বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণা কোনো বাধা নেই। তারাতো প্রচারণা করছে।
বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা এখন আদালতের স্বীকৃত দুর্নীতিবাজ। দুর্র্নীতির কারণে তারা প্রচারণায় আসতে পারছে না। কোকোর, তারেক , খালেদা জিয়ার দুর্নীতি প্রমাণিত হয়েছে। এ বিষয়গুলো নির্বাচনী প্রচারণায় বড় আকারে তুলে ধরা হবে, যা ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। আমাদের ওপর মানুষের আস্থা বাড়বে।
খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নির্বাচন কমিশন ও আদালতের ব্যাপার।
ড. জাফর উল্লাহ চৌধুরী বলেন, বিএনপি নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। তবে তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে বেশি ব্যস্ত। নেতাকর্মীদের বিভিন্ন হামলা মামলা দিয়ে জেল জলুম করছে সরকার। দেশে গনতন্ত্র বলে কিছুই নেই। সারা দেশের মানুষ ফেপে আছে।
আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচারণায় ভোট চায়। বিএনপির দলীয় নেত্রী জেলে ভোট যাইবে কে। তাছাড়া জনসভা করার জন্য তেমন সুবিধা পাচ্ছে না। নেতাকর্মীরা ভয়ে থাকে। বর্তমানে দেশে যা ঘটছে আগে কখনো ঘটেনি। সবার উচিত গণতন্ত্রকে বজায় রেখেই কাজ করা।
আপনার মতামত লিখুন :