শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০১:৩৮ রাত
আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০১:৩৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মার্কিন বলয় থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা পাকিস্তানের

ইমরুল শাহেদ : পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ সোমবার মস্কো সফরে গেছেন। তার সফরের উদ্দেশ্য হলো দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বিষয়ে আলোচনা করা। পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়টি আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আফগানিস্তানে সামরিক ব্যবস্থাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই অঞ্চলে ভিন্ন আঙ্গিকে শীতল যুদ্ধের সময়কে দেখা যাচ্ছে। কারণ আফগানিস্তানের অস্থিতিশীলতায় পাকিস্তানসহ দুটি দেশেরই আঞ্চলিক গুরুত্বপূর্ণ লোকজন সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এজন্য আফগানিস্তান দ্ব›েদ্বর একটা রাজনৈতিক সমাধান হওয়াই প্রয়োজন। ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রæপ এই অঞ্চলের পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলেছে। বিশেষ করে যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের পরিস্থিতি তো বলার অপেক্ষা রাখে না।

উর্ধ্বতন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞ সাইদ নাজির মোহাম্মদ বলেছেন, পাকিস্তান ও রাশিয়া কাছাকাছি আসার আরও কিছু কারণ আছে। এর মধ্যে একটি হলো যুক্তরাষ্ট্র অনির্দিষ্টকালের জন্য আফগানিস্তানে থাকতে চাইছে এবং আফগান যুদ্ধকে আরও দীর্ঘায়িতও করতে চাইছে। এছাড়া রয়েছে পাকিস্তানের প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক অবস্থান।

মোহাম্মদ বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন প্রকাশ্যেই তালেবানদের সঙ্গে আলোচনা বাতিল করে দিয়েছেন। এর অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে দীর্ঘ সময় ধরে অবস্থান করতে চায় এবং যুদ্ধও চালিয়ে যেতে চায়। এটা আঞ্চলিক দেশগুলোর জন্য ভয়াবহ। এর মধ্যে পাকিস্তান ও রাশিয়াও রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কেউই সামরিক সমাধান চায় না, চায় রাজনৈতিক সমাধান।’

তিনি বলেন, আফগানিস্তানে, বিশেষ করে আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে আইএসের তৎপরতা বেড়ে যাওয়া রাশিয়ার জন্যও উদ্বেগের। কারণ আইএস রাশিয়াসহ মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু পাকিস্তানের প্রতি শত্রæ ভাবাপন্ন মনোভাব দেখাচ্ছে সেহেতু পাকিস্তান স্বাভাবিকভাবেই নির্ভরশীল নতুন প্রতিবেশি খুঁজবেই এবং এটাই ক‚টনৈতিক নিয়ম।

রাজনৈতিক সমঝোতা ছাড়াও পাকিস্তান ও রাশিয়া প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটাচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের পর ২০১৬ সালে তারা প্রথম বারের মতো যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ করে। ২০১৭ সালেও দু’দেশের মধ্যে এভাবে সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। গত বছর পাকিস্তানকে চারটি এ্যাডভান্সড এ্যাটাক গানশিপ দিয়েছে রাশিয়া।

২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে পাকিস্তান ও রাশিয়ার মধ্যে একটি পাইপলাইন বসানোর জন্য দুই বিলিয়ন ডলারের চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই পাইপলাইনের মাধ্যমে করাচি থেকে লাহোর হয়ে মধ্য পাঞ্জাবে গ্যাস সরবরাহ করা হবে। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়