রবিন আকরাম: ভারতের ওড়িশায় বিজেপুরে উপ-নির্বাচন উপলক্ষে কুম্ভরি গ্রামে দলীয় প্রচারে গিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। আর ভরা জনসভার মধ্যেই তার দিকে উড়ে এল জুতো। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়।
চলতি মাসের ২৭ তারিখ মেঘালয়ে বিধানসভা ভোট। ত্রিপুরাতেও হয়ে গেল বিধানসভা নির্বাচন। তারই মধ্যে ওড়িশায় নিজেদের গড় রক্ষা করতে তৎপর বিজু জনতা দল। উপ-নির্বাচনের আগে তাই একাধিক জনসভায় হাজির হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। বারগড় জেলার কুম্ভরিতে ছিল তার তৃতীয় জনসভা। কিন্তু সেখানে গিয়ে যে তাকে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে, ভাবতে পারেননি তিনি।
গ্রামের এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় আচমকাই তার দিকে জুতো ছুঁড়ে মারেন এক ব্যক্তি। প্রথমবার জুতো এসে লাগে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দেহরক্ষীর গায়ে। পরের জুতোটি হাত দিয়ে ধরে নেন ওই দেহরক্ষীই। তারপরই নিরাপত্তারক্ষীরা মুখ্যমন্ত্রীকে আড়াল করে মঞ্চের বাইরে নিয়ে যায়। ভিড়ে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করলেও অভিযুক্তকে ধরতে বেশি সময় লাগেনি।
তবে মুখ্যমন্ত্রী চোট না পেলেও উপ-নির্বাচনের আগে এমন ঘটনা নিঃসন্দেহে দলের ভাবমূর্তিতে প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
সংবাদ সংস্থা এএনআই একটি ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে এনেছে। যেখানে মুখ্যমন্ত্রীর উপর আক্রমণের দৃশ্য স্পষ্ট। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুম্ভরির জনসভা নিয়ে একটি পোস্ট করেন নবীন পট্টনায়ক। যেখানে তিনি বলেন, জনসাধারণের থেকে এমন ভালবাসা পেয়ে তিনি আপ্লুত। যদিও সেখানে এই ঘটনার কোনও উল্লেখ করেননি তিনি।
তবে বিজু জনতা দলের (বিজেডি) অভিযোগ, বিজেপি সমর্থক কার্তিক মেহেরের উসকানিতেই এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। অভিযুক্তকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। যদিও বিজেপি-র তরফে এমন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। বারগড় জেলার এই আসনে তিনবার জিতেছে কংগ্রেস।
এদিকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিম ওড়িশায় ভাল ফল করেছে বিজেপি। আর তাকেই হাতিয়ার করতে চাইছে তারা। তাই চতুর্থবার বিজেডি-র জয় রুখতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীরা। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
https://twitter.com/ANI/status/965967855631130625
আপনার মতামত লিখুন :