গবেষক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, রাজনীতিতে অনেকেই রয়েছেন যাদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। অনেকের বিরুদ্ধেই অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে, আছে মামলাও। তারেক রহমানের গ্রহণযোগ্যতা নিয়েও বিএনপির অনেকের মধ্যে অনেক প্রশ্ন আছে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে দলটিতে বিকল্প নেতৃত্ব নেই। বিকল্প নেতৃত্ব গড়ে না উঠায় গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা বাতিল করেছে বিএনপি। তিনি বলেন, জিয়া পরিবারের বাইরের যেসব নেতা রয়েছেন বিএনপিতে, তারা তো একজন আরেকজনকে মানবেন না। ঐক্যমতেও সমস্যা রয়েছে দলটিতে। দল টিকিয়ে রাখতে হলে জিয়া পরিবারের বাইরে বিএনপি যেতে পারবে না। পরিবারতন্ত্রকে এমন এক জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যার বাইরে তারা চিন্তাই করতে পারে না।
মহিউদ্দিন আহমদ বলেন, বিএনপি দেখেছে গঠনতন্ত্রের এই ধারা (৭ ধারা) পরিবর্তন না করলে দল টিকানো যাবে না। এই পরিবর্তনের কোনো বিরোধীতাও দলটির কেউ করছে না। তারা যদি মনে করে ৭ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত সঠিক তাহলে বাইরে থেকে আমাদের বলার কিছু নেই। তিনি বলেন, যারা বিএনপি কর্মী-সমর্থক তারা তো দলটিকে সমর্থন করেই যাবে। অনেকেই বলছেন যে, সাংগঠনিকভাবে বিএনপি একজন ফেরারি আসামীকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করেছে, যা প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন। কিন্তু বিএনপি তো আওয়ামী লীগের ভোটে জিতবে না। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ভোটারেরা কাকে ভোট দিবে, কাকে জয়ী করবে আগে থেকে বলা মুশকিল। চূড়ান্ত বিচারটা আসলে নির্বাচনেই হবে, তবে সেই নির্বাচন হতে হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ।
আপনার মতামত লিখুন :