ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ: ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বরে ইউনিস্ক যখন আমাদের একুশে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাসা হিসেবে স্বীকৃতি দেয় তখন আমি বাংলা একাডেমির পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলাম। একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা হিসেবে ঘোষণা করার বেশ কিছু তাৎপর্য আছে। ১৯৯৯ সালের আগ পর্যন্ত একুশ শুধু আমাদের ছিলো। কিন্তু১৯৯৯ সালের পরে একুশে ফেব্রুয়ারি হয়ে গেলো সবার। সারা বিশ্বের প্রতিটি মানুষের।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে চ্যানেল আইয়ের আজকের সংবাদপত্র অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
তিনি আরো বলেন, ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষা আন্দোলন ছিলো না। এটা ছিলো সাংস্কৃতিক সাতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন। একটি ভাষা শুধু ভাব বিনিময়ের মাধ্যম নয়। ভাষা আমাদের সাংস্কৃতিরও বাহন। যদি বাংলা ভাসা হারিয়ে যেত তাহলে আমাদের সাংস্কৃতিও হারিয়ে যেতো। আমরা মূলত বাংলা ভাষাকে রক্ষা করেছি, সাংস্কৃতিকে রক্ষা করেছি এবং সবার সামনে নিজেদের আত্ম পরিচয়কে তুলে ধরেছি।
সৈয়দ আনোয়ার হোসেন আরো বলেন, আত্ম গোপনকারী কমিউনিস্ট নেতা খোকা রায় একটি প্রবন্ধে লিখেছিনে, শুধু বাংলা ভাষাকে নয় পাকিস্তানের সকল ভাষাকেই মাতৃভাষার স্বীকৃতি দিতে হবে। মুহাম্মাদ আলী জিন্নার ভাষাও উর্দু ছিলো না। কিন্তু তিনি কেন উর্দুকে মাতৃভাষা করতে চেয়েছিলেন? এর উত্তর অনেক দীর্ঘ। আমি শুধু এতোটুকই বলবো যে, তিনি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করতেন তাই তিনি এটা চেয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :