শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৭:০৫ সকাল
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৭:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

২১ মানে মাথা নত না করা

ডেস্ক রিপোর্ট : সেদিন এমনই ফাল্গুনে ঝরেছিল তাজা প্রাণ। যাদের দাবি ছিল মায়ের ভাষার অধিকার; যারা পথে নেমেছিল রাষ্ট্রভাষার অধিকারের কথা জানাতে। অধিকার আদায়ের সেই লড়াইয়ে ঘাতকের গুলিতে ঝরে পড়েছিলেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার ও শফিউরসহ নাম না-জানা আরও অনেক শহীদ। তাদের স্মরণে আজ অমর একুশে। একুশের চেতনা জেগে থাকুক বাঙালির হৃদয়ে। সেই প্রত্যাশায় শুরু হোক ভাষার অধিকার আদায়ে জীবন বিলিয়ে দেওয়া সেই দিনের প্রথম প্রহর। আলতাফ মাহমুদের সুরে আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখা সেই অমর গান গেয়ে উঠুক বাংলাদেশ–‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।

৫২’র শুরু থেকে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ বলে স্লোগানে রাজপথ তপ্ত করে ছাত্রসমাজ যে লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছিল, রাষ্ট্রভাষা কেন বাংলা হবে না—সে প্রশ্ন করতে শিখেছিল, এই মাস সেই জবাবদিহিতার। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে যে নামগুলো রচনা করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের ভিত্তি, তাদের আত্মদানের স্মৃতিকে মনে রাখা প্রজন্মের দায়িত্ব।

এই দিন কেবল আমাদের রাষ্ট্রভাষা প্রতিষ্ঠার দিন এখন আর নেই। দিনটি এখন বিশ্বব্যাপী উদযাপনের। জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেসকো) ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর তাদের ৩০তম সম্মেলনে ২৮টি দেশের সমর্থনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ২০০০ সাল থেকে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে একযোগে এ দিবসটি পালিত হচ্ছে। এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাঙালি জাতির জন্য এক অনন্যসাধারণ অর্জন।

একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে দেশব্যাপী চলবে নানা আয়োজন। সকালের আলো ফোটার আগে থেকে শুরু হবে প্রভাত ফেরি। নিজ নিজ এলাকার শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে যাওয়ার পাশাপাশি নিজেরা সাময়িক শহীদ মিনার বানিয়েও দিনটিকে স্মরণ করার রেওয়াজ আছে দেশজুড়ে।

আজ রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবেন। পুরো রাতজুড়ে এমনকি একুশের দুপুর গড়িয়ে গেলেও এ ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো শেষ হয় না। বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশু এসে মিলিত হন শহীদদের স্মরণে, শাসকদের হাত থেকে মাতৃভাষাকে ছিনিয়ে আনার অর্জনের গৌরবে।

‘একুশ মানে মাথা নত না করা’- চিরকালের এ স্লোগান আর বুকে শোকের প্রতীক কালো ব্যাজ ধারণ করে, খালি পায়ে সবাই শামিল হতে শুরু করেন শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। আজ সরকারি ছুটির দিন। অর্ধনমিত রাখা হবে জাতীয় পতাকা। একই সঙ্গে সর্বত্র ওড়ানো হবে শোকের কালো পতাকা।

সেই সংগ্রামের ৬৮ বছর কেটে গেলেও এখনও কাজের ভাষা বাংলা নয় অনেক জায়গায়। যে লক্ষ্য নিয়ে ছাত্ররা সেদিন ১৪৪ ধারা ভেঙে বুক পেতে দিয়েছিলেন বন্দুকের নলের সামনে, জীবন দিয়েছিলেন, তাদের আত্মত্যাগকে আমরা যথাযথ মর্যাদা দিতে পেরেছি কিনা, সে নিয়ে প্রশ্ন এখনও জেগে আছে। অথচ ৫২’র এসময় উত্তাল ছিল বাংলাকে প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ গুলি চালায়। নিহত হন সালাম, বরকত, রফিক ও জব্বারের মতো তরুণ প্রাণ। ভাষা শহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখতে ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেল প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এরপর পাকিস্তানি শাসকরা একাধিকবার গুঁড়িয়ে ফেললেও আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে সেই শহীদ মিনার, আজ বাঙালির সেদিক পানেই যাওয়ার দিন, কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ও নিজেকে তৈরির দিন। বাংলাট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়