আসাদুজ্জামান সম্রাট : রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ চলতি দশম জাতীয় সংসদের ১৯তম অধিবেশনে জাতীয় সংসদে পাস হওয়া দু’টি বিলে অনুমোদন দিয়েছেন। বিল দুটি হলো, আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল, ২০১৮ এবং কবি নজরুল ইনস্টিটিউট বিল, ২০১৮। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে এটি আইনে পরিণত হলো।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শাস্তি বাড়িয়ে দ্রুত বিচার আইনের সংশোধনী বিল ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন-২০১৮’ পাস করা হয়েছে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা পালনের উদ্দেশ্যে, চাঁদাবাজি, যানবাহন চলাকালে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতিসাধন, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট করা, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র ক্রয়-বিক্রয় গ্রহণের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের গুরুতর অপরাধের দ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা বিঘœকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইন, ২০০২ (২০০২ সালের ১১নং আইন) প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল। উক্ত আইনে শাস্তির পরিমাণ কম থাকায় আইনটি সময়োপযোগী করা এবং দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও অধিকতর উন্নতির লক্ষ্যে এ আইনে নির্ধারিত শাস্তির পরিমাণ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
পূর্বের আইনে শাস্তি ছিল ৫ বছরের। সংশোধনী করে এবার ৭ বছর করা হয়েছে। বিলে বিদ্যমান আইনের ধারা ৮ এর উপ-ধারা (২) এ উল্লেখিত সরকার বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত একজন প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটকে উক্ত আদালতের বিচারক নিযুক্ত করবে শীর্ষক নতুন (২) উপ-ধারা প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :