শিরোনাম
◈ ইরানের ইস্পাহানে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান

প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১১:১৫ দুপুর
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১১:১৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাঁদপুরে মাসুদ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

শওকতআলী, চাঁদপুর: চাঁদপুরের মতলব উত্তরে মো. মাসুদ রানা (২৩) কে হত্যার অপরাধে ৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ইয়ামিন উপজেলার দক্ষিণ লধুয়া গ্রামের বাকরা কান্দার মো. আ. রহিম বেপারীর ছেলে, আব্দুল খালেক পশ্চিম লুধুয়া গ্রামের মোল্লা বাড়ীর মৃত নোয়াব আলীর ছেলে, ফারুক একই গ্রামের বেপারী বাড়ীর মো. বারেক বেপারীর ছেলে, সেলিম মাঝি দক্ষিণ লুধুয়া গ্রামের আবুল কাসেম মাঝির ছেলে ও মো. আলী মুন্সী পশ্চিম লুধুয়া গ্রামের মুন্সী বাড়ীর মৃত মোখলেছুর রহমান মুন্সীর ছেলে।

হত্যার শিকার মো. মাসুদ রানা একই উপজেলার দক্ষিণ রাঢ়ী কান্দির দর্জি বাড়ীর মো. রবিউল দর্জির ছেলে। তিনি মতলব দক্ষিণ উপজেলা বাজারে বাদল এর তেলের দোকানে কাজ করতেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৫ অক্টোবরে মো. আলী মাসুদ রানাকে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে যান। ওই রাতে তাকে আর খুঁজে পায়নি পরিবারের লোকজন। পরদিন সকালে আসামি মো. আলীকে স্থানীয় লোকজনের সামনে মাসুদ রানার কথা জিজ্ঞাস করলে মো. আলী জানায় রাতে অপর আসামিরাসহ আলফুর প্রধানের বাড়ীর পাশে রাস্তায় আড্ডা দিয়েছে এবং দোকানে নাস্তা খেয়েছেন। পরে মো. আলী ব্রীজের নিকট এসে তাদেরকে রেখে চলে যায়।

এরপর মাসুদ রানার পিতা ছেলেকে না পেয়ে ১৪ অক্টোবর মতলব উত্তর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর খোঁজাখুজি করে ১৫ অক্টোবর সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে পার্শ্ববর্তী ডোবার মধ্যে মাসুদ রানার মরদেহ সন্ধান পায়।

আসামিদের জবানবন্দী ও মাসুদ রানার পিতার বক্তব্য থেকে জানা যায়, মাসুদ রানার কর্মস্থলে (দোকানে) আসামি ইয়ামিন বেপারী ২০০৭ সালে ঢাকা থেকে একটি মেয়ে নিয়ে প্রবেশ করে। ওই সময় পুলিশ ওই মেয়ে এবং ইয়ামিনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। পরে ইয়ামিন ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে ছাড়া পায়। ওই থেকেই মাসুদ রানা ইয়ামিনকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে সন্দেহ করে শত্রুতা সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাকি আসামিদের নিয়ে ইয়ামিন বেপারী তার ঘরে গলায় লুঙ্গি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং ডোবার মধ্যে মরদেহ গুম করে রাখে।

এই ঘটনায় মাসুদ রানার পিতা রবিউল দর্জি মতলব উত্তর থানায় ৩০২/২০১/৩৪ দারায় উল্লেখিত আসামি সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকরী কর্মকর্তা তৎকালীন সময়ের মতলব উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আক্রাম হোসেন মজুমদার ও আব্দুল ওহাব ২০০৯ সালের ৩০ মে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়