হ্যাপী আক্তার : সচরাচর নদী ভাঙন দেখা যায় বর্ষা মৌসুমে তবে এর ব্যতিক্রম ঘটেছে শরীয়তপুরে। শুষ্ক মৌসুমে অসময়ে পদ্মার ভাঙনে দিশেহারা শরীয়তপুরের মানুষ। এরইমধ্যে ধসে গেছে সুরেশ্বর রক্ষা বাধের ২০০ মিটার এলাকা। ঝুঁকিতে আরও ৬০০ মিটার এলাকা। বর্ষার আগে ভাঙন রোধে পদক্ষেপ না নিলে সুরেশ্বরের অনেক স্থাপনা নদীতে বিলীনের আশঙ্কা স্থানীয়দের।
বর্ষা মৌসুমেও এত ভয়াবহ ভাঙন দেখেনি সুরেশ্বরবাসী। কয়েক দফা ভাঙনে ঘরবাড়ি হারানো মানুষ আশায় ছিলেন শুষ্ক মৌসুমে অন্তত একটু শান্তিতে থাকতে পারবেন। কিন্তু শুক্রবার মাঝরাতে শুরু হয় ভয়াবহ ভাঙন। ধসে পড়ে ২০০ মিটার এলাকা। হঠাৎ নদীর এই ভংঙ্কর রুপ দেখে দিশেহারা স্থানীয় বাসিন্ধারা।
২০১২ সালে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় নয়শ মিটার সুরেশ্বর রক্ষা বাধ। গত বছর বন্যায় প্রথম ভাঙন দেখা দিলেও সুরক্ষিত ছিল বাধটি। কিন্তু হঠাৎই এই ভাঙনে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে আশাপাশের অন্তত্য আট গ্রামের মানুষ।
ধ্বস শুরু হয়েছে বাধের বিভিন্ন জায়গায়। দ্রুত সংস্কার না হলে আগামী বর্ষায় পুরো বাধটিই পদ্মায় বিলীনের আশঙ্কা স্থানীয়দের। এতে হুমকিতে পড়বে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, স্কুল, কলেজ, সুরেশ্বর মাজারসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও।
শরীয়তপুর পানি উন্নয় বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম শেখ বলেন, বাধ নির্মানে ড্রাম্পিং উন্নয়ন যে জিনিসপত্র তা সরে যাওয়ার কারণে বাধ ভেঙ্গে পড়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভাঙন রোধে পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয়দের ধারণা, পদ্মার মূল স্রোতের গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে তীর ঘেষে চলায় ভাঙন প্রকট আকার ধারণ করছে।
সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :