শিরোনাম
◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন

প্রকাশিত : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৯:০৭ সকাল
আপডেট : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৯:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাদক আর জলাবদ্ধতায় অন্তহীন দুর্ভোগে মানুষ

ডেস্ক রিপোর্ট : বৃষ্টির মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান পানি জমে। কখনো বা হাঁটু ছাড়িয়ে উঠে যায় কোমর অবধি। এ তো গেল বৃষ্টি মৌসুমের দুর্ভোগ। আর এখন চলছে রাস্তায় পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ বসানো ও সংস্কারের কাজ। গত ছয় মাস ধরে সরু রাস্তায় এমন খোঁড়াখুঁড়ি মধ্যেই হাটাচলা করতে হচ্ছে মানুষকে। রাস্তার এই খোঁড়াখুঁড়ির কারণে রাজধানীর জাফরাবাদ, উত্তর সুলতানগঞ্জ, রাজমূশুরী জাফরাবাদ, রায়ের বাজার, বিবির বাজার, শংকর, পূর্ব রায়ের বাজার, মধু বাজার ও পশ্চিম ধানমন্ডি এলাকার মানুষ আছেন চরম দুর্ভোগে।

এলাকাগুলো ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩৪ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন। ময়লা-আবর্জনা আটকে এলাকার আশেপাশের খালগুলোর পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে অল্প বৃষ্টিতে ডুবে যায় রাস্তা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, দ্রুত নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে কাজ শেষ হচ্ছে না। অন্যদিকে এলাকার বস্তি এবং আশেপাশের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বসে মাদকের আসর। অলি-গলিতে হাত বাড়ালেই মেলে মাদক। এমনকি রায়ের বাজার এলাকায় গলির চায়ের দোকানেও বিক্রি হয় ইয়াবা।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সন্ধ্যার পর ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে রায়ের বাজার এলাকা। মাঠের ভিতরে, মাঠের বিপরীতে মোহাম্মদপুর ক্লাবে, রায়ের বাজার বৈশাখি মাঠে প্রতিদিন বসে মাদকের আসর। বস্তিগুলোতে মাদক কেনাবেচা চলে। আশেপাশের ক্যাম্পগুলো থেকে ওই এলাকায় মাদক সরবারহ হয় বলে জানা গেছে।

রায়ের বাজার এলাকার বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, এলাকার তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দিচ্ছে মাদক। স্কুল, কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণরা সন্ধ্যার পর আড্ডায় বসে। এলাকার আরেক বাসিন্দা নাজমুল হাসান মাদক নির্মূলে অভিযোগ বাক্স লাগানোর পরামর্শ দিলেন। তার কথা, মানুষ মাদকের সঙ্গে জড়িতদের নাম কাগজে লিখে বাক্সে ফেলে আসবে। পুলিশ সত্যতা যাচাই করে অভিযান চালাবে।

ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ আবু তাহের খান মাদকের বিষয়ে তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেন, আপনার-আমার কারো পক্ষে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। মাদকসেবীকে ধরে আজকে পুলিশে দিলে কালকে দেখি এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। জন দুর্ভোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশনের সমন্বয়হীনতার কারণে নাগরিক সুবিধার সব কাজ থমকে আছে। মেয়র যখন বেঁচে ছিলেন তখন কাজে গতিশীলতা ছিল। আর এখন কর্মকর্তারা অফিসে বসে অর্ডার দেন, আমাদের সঙ্গে কোন যোগাযোগও করেন না। লোকজন রাস্তায় কাজ করতে আসলে আমি দেখি কাজ করছে, তবে এর আগে কিছুই জানি না। মেয়র না থাকার কারণে অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়েছি। তিনি জানান, তিন বছর পেরিয়ে গেলেও কাজ শেষ না হওয়ায় সরকারি কমিউনিটি সেন্টারটি চালু করতে পারিনি।

সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর আলেয়া সারোয়ার ডেইজী বলেন, এলাকার আশে-পাশের খালবিলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর ওঠার কারণে পানি নিস্কাশনে বড় ধরণের সমস্যা হচ্ছে। ফলে বর্ষাকালে এলাকায় হাটু পর্যন্ত পানি জমে। তিনি আরো জানান, কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করে জেনেছি, আগামী বর্ষার আগেই সড়কের সকল কাজ শেষ হবে। সূত্র : ইত্তেফাক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়