শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১০:৫০ দুপুর
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১০:৫০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মমতাকে অগ্রাহ্য করেই তিস্তা চুক্তি করতে পারবেন মোদি

সজিব খান: ভারতের সুপ্রিমকোর্টে এক মামলার রায় হবার পর ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির আপত্তি জানানোর বাধা আপাতত দূর হয়ে গেছে। সে জন্য এখন তিস্তা চুক্তি নিয়ে মমতার আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই তিস্তা চুক্তি করতে পারবেন মোদি সরকার।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ভারতের কাবেরী নদীর পানিবণ্টন মামলার রায়ে ভারতের সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ বলেন, ‘নদী কোনো নির্দিষ্ট রাজ্যের হয় না। নদী কারও একার নয়। কোনো রাজ্য নদীর পানির অধিকার একা নিতে পারে না এবং নিজের বলে দাবি করতে পারে না। যেখানে ঘাটতি রয়েছে সেখানে পানি শুধুমাত্র প্রয়োজনের জন্য ব্যবহার করা উচিত।

এ রায়ের মধ্য দিয়েই তিস্তা চুক্তিতে মমতা ব্যানার্জির আপত্তি জানানোর বাধা আপাতত দূর হয়ে গেছে। এতে করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিস্তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের আপত্তি অগ্রাহ্য করে এককভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার শক্তি পেলো। এই রায়ের পর মোদি সরকার তিস্তা চুক্তি নিয়ে মমতাকে রাজি করাতে না পারলে তার দাবিকে উপেক্ষা করে ঢাকার সঙ্গে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারবে। এতে যদি মমতা ব্যানার্জি আদালতেরও দ্বারস্থ হন সে ক্ষেত্রে কাবেরী নদীর পানিবণ্টন মামলা নিয়ে উচ্চ আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সম্পন্ন করতে পারে ভারত সরকার।

প্রসঙ্গত, ভারতে-বাংলাদেশের মধ্যকার তিস্তা চুক্তি নিয়ে কথা বেশকয়েকবার বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হলে সেসময় ভারতীয় সংবিধানের সূত্র ধরে মমতা ব্যানার্জিরা দাবি করছিলেন, ‘যুক্তরাজ্য কাঠামোয় কৃষকদের স্বার্থে তিস্তার পানি ইস্যুতে রাজ্যের অধিকার ও বক্তব্যই গুরুত্ব দিতে হবে। প্রথমে মনমোহন সিং ও পরে মোদি, দু’জনই সংবিধানমতে মমতার আপত্তিকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে ইচ্ছা থাকা শর্তেও বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি করতে পারেননি।

গত বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে গেলে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’দেশের মধ্যে তিস্তা চুক্তি করার আশা দিলেও বিষয়টি নিয়ে মমতা বেঁকে বসায় চুক্তি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। তবে শুক্রবার নদী নিয়ে ভারতীয় সুপ্রিমকোর্টের রায়ে প্রধানমন্ত্রী মোদি তথা কেন্দ্রীয় সরকারের হাত আরও মজবুত হলো। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের বছরে এই রায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য স্বস্তির বলে মনে করছেন দু’দেশের কূটনীতিকরা।

সূত্র: যুগান্তর

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়