ব্রি. জে. (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন : থানার পাশেই মাদকের আখড়া। রাজধানীর হাজারিবাগে থানা থেকে মাত্র ৫০ গজ দূরেই মাদকের আখড়া। ৪০-৫০ জন সেখানে প্রতিদিন আড্ডা দেয়। সম্প্রতি মাদক নিয়ে সংঘাতে সেখানে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।
মাদক বন্ধ হওয়ার একমাত্র পন্থা হচ্ছে, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীকে সক্রিয় হতে হবে। মাদক তো জঙ্গিবাদের চেয়েও কম মারাত্মক নয। সে হিসেবে আমাদের গোয়েন্দাবাহিনী, পুলিশ, বিশেষ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে যে সকল লোকবল আছে, তা দিয়ে যদি নজরদারী না করা হয়, তাহলে তো এধরনের কার্যকলাপ হতেই থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর নাকের ডগায় যদি এধরনের কার্যকলাপ হয়, তবে এটা তো বড় খারাপ ব্যাপার। মাদক তো আমাদের যুব সমাজকে নষ্ট করে দিচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে আমরা সরকারের নিকট আরো জোড়ালো ভুমিকা আশা করি। সুতরাং সরকারের ভূমিকা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর ভূমিকা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভূমিকা যদি জোড়ালো না হয়, তাহলে মাদক কে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। মাদক আমাদের দেশের যুবসমাজের একটি বড় অংশ কে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষিত সমাজের মধ্যেও মাদকের বড় প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। এটা আমাদের জন্য জাতীয় পর্যায়ের একটি মারাত্মক বিপর্যয়। সম্মিলিত ভাবেই এই বিপর্যয় থেকে আমাদের সমাজ কে রক্ষা করতে হবে।
পরিচিতি: সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: মাহবুবুল ইসলাম
সম্পাদনা: মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :