হ্যাপী আক্তার : সাতক্ষীরা প্রতাপনগর এবিএস ফাজিল মাদ্রাসায় সারা বছর ধরে পড়ানো হয় এক বিষয়ে আর পরীক্ষা দিতে হয় অন্য বিষয়ে। এতে ফল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন পরীক্ষার্থী ও অভিভাকরা। এছাড়াও শিক্ষকদের অবহেলা আর স্বেচ্ছাচারিতায় নানা ধরনের ভোগান্তির অভিযোগ উঠেছে। দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
আশাশুনির প্রতাপনগর এবিএস ফাজিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠানটির ৫১ জন দাখিল পরীক্ষার্থীকে দুই বছর ধরে পড়ানো হয়েছে শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান বিষয়। কিন্তু ১৩ ফেব্রুয়ারি দাখিল পরীক্ষার আগের রাতে প্রবেশপত্র দেখে শিক্ষার্থীরা জানাতে পারে পরীক্ষার বিষয় বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়। এতে হতাশ হয়ে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
বিষয় পরিবর্তনের হতাশা কাঁধে নিয়েও মাত্র এক রাতের প্রস্তুতিতে পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। ২০১৬ সালে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনে শিক্ষকরা বিষয় কোড ভুল করার খেশারত দিতে হল পরীক্ষার্থীদের। প্রতিবছরই শিক্ষকদের ভুলের কারণে নষ্ট হচ্ছে অনেক ছাত্রের শিক্ষাজীবন।
দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকার করে মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ বলেন, ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ভুল আর না হয় সে জন্য সব ধরণের পদক্ষেপ নেবেন তারা।
সাতক্ষীরা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সায়েদুর রহমান বলেন, পরীক্ষায় শিক্ষকদের যে অবহেলা তা যদি কোনো অভিভাবক বা শিক্ষার্থী অভিযোগ করে তাহলে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি যে নিয়ম আছে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিভাবকদের অভিযোগ, অদক্ষ ও অসাধু ব্যাক্তিরা দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করায় ভোগান্তিতে পড়ছে তাদের সন্তানরা।
সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :