শিরোনাম
◈ সিলেটে ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ২ ◈ থাইল্যান্ডের রাজা-রাণীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ ◈ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়, হাইকোর্টের রায় ◈ শিক্ষক নিয়োগ: ১৪ লাখ টাকায় চুক্তি, ঢাবি শিক্ষার্থীসহ গ্রেপ্তার ৫ ◈ বিদ্যুৎ-গ্যাস কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্র ছাড়া ঋণ মিলবে না ◈ রোববার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান  ◈ নতুন করে আরও ৭২ ঘণ্টার তাপ প্রবাহের সতর্কতা জারি ◈ উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ব্যর্থ হলে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা ক্ষুণ্ন হতে পারে: সিইসি ◈ ভারতের রপ্তানি করা খাদ্যদ্রব্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পেয়েছে ইইউ ◈ ৯৫ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা বিলে জো বাইডেনের স্বাক্ষর

প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৭:৫৩ সকাল
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৭:৫৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১১০ জন শিক্ষক পরিবার পরিজন নিয়ে সংকটে

প্রবাল চৌধুরী ও জাকির হোসেন (ঠাকুরগাও): প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তবর্তী হরিপুর উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১১০ জন অতিরিক্ত শ্রেণী শিক্ষক পরিবার পরিজন নিয়ে সংকটে পড়েছেন।

সরকারি চাকুরী বয়স না থাকায় তাদের এমপিও ভুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্বারকলিপি দিলেও এখনো কোন সিদ্ধান্ত না পাওয়ায় চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছেন তারা। এদিকে মান সম্মত শিক্ষার জন্য তাদের এমপিও ভুক্ত করা আবশ্যক বলে মনে করছেন স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তারা।

ইংরেজি, গনিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে নিয়োগ পাওয়া এসব শিক্ষক নিয়মিত ক্লাস ছাড়াও মাসে অন্তত ১৬ টি অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ ভূমিকা রাখছেন। নিয়োগ দেওয়ার সময় প্রকল্প সফল হলে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানে প্রকল্পের মেয়াদ শেষে এসিটি শিক্ষকদের এমপিও ভুক্তি করা হবে অথবা নতুন প্রকল্পে সরাসরি অন্তরভুক্ত করা হবে বলে উক্ত প্রকল্পের নীতিমালায় উল্লেখ ছিল।

কিন্তু এরই মধ্যে গেল ডিসেম্বরে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়া এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তারা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে স্বারকলিপি দিয়েছেন কিন্তু এখনো কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এজন্য তারা পরিবার পরিজন নিয়ে হতাশায় ভুগছেন।

অথচ এসব শিক্ষকদের বলিষ্ট ভূমিকায় প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার পরিবেশ ও গুণগতমান উন্নয়ন হয়েছে।

হরিপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াছিন খান, হরিপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন, হরিপুর আলিম মাদরাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাও: মফিজুল ইসলাম কাদেরী বলেন, প্রতিষ্ঠান গুলোতে এসব শিক্ষকের ক্লাস নেওয়ার কলাকৌশল ছিল ভিন্ন ধরনের। অমনোযোগী ও দুর্বল শিক্ষার্থীরাও পড়াশুনায় মনোযোগী হয়ে উঠতো। গরিব অসহায় ও দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের টাকা খরচ করে বাইরে কোচিং এর দরকার পড়তো না। সেকারণে এসব শিক্ষকের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রয়োজন রয়েছে। সরকার যেন অতি জরুরিভাবে মান সম্মত শিক্ষা ও শিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নের দিক লক্ষ্য করে তাদের চাকুরী এমপিও ভুক্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। না হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আবারও শিক্ষক সংকটসহ পাঠদানের ব্যাঘাত ঘটবে।

এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস আর ফারুক বলেন, এ বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে আনতে আমরা কথা বলেছি এবং এসইডিপি নামে ৫ বছর মেয়াদী একটি নতুন প্রোগ্রাম চালু হচ্ছে। এখানে এসিটি শিক্ষকদেরকে পুন:ভাবে বহালের জন্য প্রক্রিয়া চলছে। তবে সময় লাগবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়