অধ্যাপক এ কে আজাদ : আমি একদমই কোটা তুলে দেওয়ার পক্ষে না। কোটা মেধাকে অবজ্ঞা করে। কোটার প্রাধান্য থাকবে এটা আমি স্বীকার করি না। তবে, অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠী, মুক্তিযোদ্ধা বা অন্যান্য বিশেষ কিছু জাতিগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ সুবিধা হিসেব কোটা থাকতে পারে। তবে কোটার অধিকার কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কোটাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো শক্ত কথা আমি বলব না।
মেধা লালন করার জন্য এবং যোগ্য ব্যক্তিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য পরীক্ষার ফলাফল এবং মেধার উপরেই সকল নিয়োগ হওয়া উচিত। অনগ্রসর জাতি বা মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য টোকেন কোটা থাকা উচিত। তবে এর সংখ্যা বেশি নয়। প্রতিবন্দীদের জন্যও টোকেন থাকতে পারে, তবে খুব বেশি নয়। জাতিগোষ্ঠী সব মিলিয়েই তো সমাজ। মানবাধিকারও তো সমাজকে নিয়েই। সমাজের অনগ্রসরদের পার্টিসিপেশন বা প্রেজেন্টেশন থাকলে মানবিক মূল্যবোধকে আরও বিকশিত করে।
তবে কোনো অবস্থাতেই এ সংখ্যা এত অধিক হওয়া উচিত নয়। মিনিমাম র্টিসিপেশন এই কোটাতে থাকতে পারে। অবশ্যই যেন অধিকাংশরাই প্রতিষ্ঠিত হয় তাদের মেধা ও দক্ষতা এবং যোগ্যতার বলে। আমার মনে হয় এটাই হওয়া উচিত। সমাজে অনগ্রসর, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান বা প্রতিবন্দী এদের মিনিমাম পার্টিসিপেশন বা টেকেন পার্টিসিপেশন রিকোগনেশন দেওয়ার জন্য থাকতে পারে।
তবে সেটা কখনই বিশাল সংখ্যায় নয়। নারী ক্ষমতায়ন বৈশ্বিকভাবেই গ্রহণযোগ্য এবং ঘোষিত। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়েও নারীরা ভালো রেজাল্ট করছে ছেলেদের তুলনায়। সে হিসেবে তো সেই কথা এমন করে আসা উচিত নয়। বৈশ্বিকভাবেই নারীদের ব্যাপারটা বিবেচিত হয়, আমাদের এখানে হবে কিনা আমি জানি না। ইদানিংকালে ইতিহাস ঘাটলে দেখা যাবে তাদের বড় একটি অংশ প্রতিষ্ঠিত হতে সক্ষম হয়েছে।
পরিচিতি : শিক্ষাবিদ/মতামত গ্রহণ : মাহবুবুল ইসলাম/সম্পাদনায় : গাজী খায়রুল আলম
আপনার মতামত লিখুন :