সজিব সরকার: থাইল্যান্ডের একটি গণতন্ত্রকামী সংগঠন গণতন্ত্র কায়েমের লক্ষ্যে সামরিক অভ্যুত্থানের বার্ষিকী সামনে রেখে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে। এ বিক্ষোভের কারণে তাদেরকে গ্রেফতার করা হতে পারে ভেবেও পরিকল্পনা পিছপা হচ্ছে না তারা। সময়সূচী অনুযায়ী এ বছরের নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা এবং তারা চায় সামরিক সরকার যেন আর কোন বিলম্ব না করে।
২০১৪ সালে দেশটির সেনাবাহিনী ক্ষমতা হাতে নেয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অনেকবার নির্বাচন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং প্রতিবারই তারা তাদের প্রতিশ্রুতি ভেঙ্গেছে। নির্বাচনের বিষয়ে সেনাবাহিনীর দেয়া সর্বশেষ সময়সূচী অনুযায়ী আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হবে এবারের নির্বাচন। কিন্তু গত বছর নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় কয়েকটি আইন পরিবর্তনের কারণে এবারের নির্বাচনও আশংকায় পড়েছে, যার ফলে নির্বাচন ২০১৯ সালে গড়াতে পারে বলে ধারণা করছেন গণতন্ত্রকামীরা। এজন্য তারা দেশটির ব্যাংকক, চিয়াং মাই, খন কিন’সহ বিভিন্ন অঞ্চলে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বিক্ষোভ করে আসছে।
দেশটির ডেমোক্রেসি রেসটোরেশন গ্রুপ (ডিআরজি) একটি বিবৃতিতে জানায়, ১৮ ফেব্রুয়ারী, নাখন রাচাসিমায় এবং পরের রবিবার ব্যাংককে আমরা বিক্ষোভ করব। তাছাড়া মার্চের ১০ ও ২৪ তারিখে এবং মে মাসের প্রত্যেক শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচীর পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা মে মাসে বিক্ষোভের মধ্যদিয়ে থাইল্যান্ডের প্রত্যেকটি জনগণকে নির্বাচনের ব্যাপারে সতর্ক করতে চাই এবং তাদের বুঝাতে চাই আমাদের জন্য নির্বাচন কতটা জরুরী। চ্যানেল নিউজ এশিয়া
আপনার মতামত লিখুন :