শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১০:৩২ দুপুর
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১০:৩২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শিশু জয়নব ধর্ষকের ৪ দফা মৃত্যুদণ্ডাদেশ

সাইদুর রহমান : পাকিস্তানের বহুল আলোচিত শিশু জয়নবকে ধর্ষণ করে হত্যাকারী ইমরান আলীকে ৪ বার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সন্ত্রাস-বিরোধী আদালত। এ রায়কে পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত রায় হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। পাঞ্জাব প্রদেশের কাসুরের এক কারাগারের অভ্যন্তরে সন্ত্রাস-বিরোধী আদালতের বিচারক সাজ্জাদ আহমেদ আজ শনিবার এই দণ্ড ঘোষণা করেন।

সন্ত্রাস-বিরোধী আদালত ৬ টি অভিযোগ আমলে নিয়ে ইমরানের ফাঁসির দণ্ড দিয়েছে। তাকে শিশু হত্যা, শিশু অপহরণ, শিশু ধর্ষণ এবং শিশুর সঙ্গে অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া শিশুর দেহ উন্মুক্ত করে নির্যাতন চালানোর দায়ে ইমরানকে আরও সাত বছরের কারাদণ্ড ও দশ লাখ টাকা জরিমানার দণ্ড দেওয়া হয়েছে।

জয়নাবের শরীরে পাওয়া সন্দেহভাজন অপরাধীর ডিএনএ নমুনাটি আগে ধর্ষণের শিকার হওয়া সাতটি শিশুর শরীরেও পাওয়া গিয়েছিলো। গত ২৩ জানুয়ারি ওই নমুনার সঙ্গে এক সন্দেহভাজনের নমুনা মিলে যাওয়ার পর পাঞ্জাবের মূখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেন ইমরান আলী হলেন সেই অপরাধী।

এরপর সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে শুরু হয় তার বিচার। এই ঘটনায় জয়নাবের চাচা ও ভাইসহ মোট ৫৬ জন স্বাক্ষ্য দেন। প্রসিকিউটর জানান, ফরেন্সিক রিপোর্ট ও পলিগ্রাফিক পরীক্ষায়ও প্রমাণ হয়েছে যে ইমরানই জয়নবকে হত্যা করেছে।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি কোরআন ক্লাস শেষে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় পাঞ্জাবের কাসুরের সাত বছরের শিশু জয়নাব আনসারি। বাবা-মা সৌদিতে ওমরাহ পালনে যাওয়ায় কয়েকদিনের জন্য খালার বাড়িতে থাকা শিশুটির মরদেহ ৯ জানুয়ারি শহরের একটি আবর্জনার স্তুপে পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তে নিশ্চিত হওয়া যায় ধর্ষণের পর হত্যার শিকার সে। এক বছরের মধ্যে বারোতম শিশু হিসেবে ধর্ষণের শিকার হওয়া জয়নাবের মৃত্যুতে শুরু হয় বিক্ষোভ। কাসুরের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে দুইজন নিহত হলে পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে সেই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। সূত্র: জিও নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়