আবু সাঈদ খান : সরকারি চাকুরিতে কোটা প্রথা কিছু কিছু ক্ষেত্রে থাকার প্রয়োজন আছে। তবে সব ক্ষেত্রে নয়। বিশেষ করে, যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী আছে, তাদের জন্য কোটা রাখা যায়। তাছাড়া অনেক ক্ষেত্রে নারীদের জন্যও কোটা রাখা দরকার। তবে সব জায়গায় নয়। নারীদের জন্য কোটা প্রথা রাখার কারণ হচ্ছে, যাতে করে তারা পুরুষের সমানভাবে এগিয়ে যেতে পারে। কোনো কারণে হয়তো তারা চাকুরীতে অংশগ্রহণে পিছিয়ে আছে। তাদের কোনো কোনো জায়গায় কোটা প্রথাটি রাখলে, তাদের এই সমস্যাগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে।
তবে কোটার নামে অনেক ক্ষেত্রে অনিয়ম হচ্ছে। সেগুলো তুলে দেওয়া জরুরী। মুক্তিযুদ্ধে আমার সামান্য অবদান আছে। তাই আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে বলতে চাই, মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে ছিল ব্যক্তিগতভাবে চাওয়া পাওয়ার জন্য নয়। তারপর তাদের পুনর্বাসন, ভাতাসহ বিভিন্নভাবে সম্মান দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। তবে তাদের সন্তান, নাতী, পুতিসহ প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই সুবিধা ভোগ করবে, এটি আমি যৌক্তিক মনে করি না।
পরিচিতি : সিনিয়র সাংবাদিক/মতামত গ্রহণ : গাজী খায়রুল আলম/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :