শিরোনাম
◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত ◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল

প্রকাশিত : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৯:১১ সকাল
আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ০৯:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সমতার দায়িত্ব সরকারের

ডেস্ক রিপোর্ট : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সারা দেশে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেও তাদের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি তা পারছে না বলে অভিযোগ দলটির নেতাকর্মীদের। তাদের মতে, দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে তৃণমূলের কর্মীরা মামলা-মোকদ্দমায় পর্যুদস্ত। নির্বাচনী প্রচার তো দূরের কথা, পুরনো অথবা নতুন মামলায় প্রায় প্রতিদিনই কেউ না কেউ গ্রেফতার হচ্ছেন অথবা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে আছেন। আবার কোনো কোনো মামলার বিচার কাজ চলছে বেশ দ্রুতগতিতে। নির্বাচনের আগেই এসব মামলার রায়ে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি হতে পারে বলেও আশঙ্কা দলটির নীতিনির্ধারকদের।

ওই নীতিনির্ধারকদের আরও জানান, গত নভেম্বরে নির্বাচনের প্রাথমিক রোডম্যাপ তৈরি করে তৃণমূলে সাংগঠনিক সফরও শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাগারে যাওয়ার আগে-পরে ‘গ্রেফতার অভিযান’ চালানোর পর থেকে নির্বাচন সংক্রান্ত সব ধরনের কার্যক্রম কার্যত বন্ধ রয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনী প্রচারে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ)’ তৈরি হচ্ছে না বলে অভিযোগ তাদের। যদিও ক্ষমতাসীনদের দাবি, বিএনপিও এ মুহূর্তে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি এবং প্রচারের ক্ষেত্রে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করার প্রধান দায়িত্ব সরকারের। আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে দেশে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন তারা। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) বলছে, বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কমিশন কোনো সমঝোতার উদ্যোগ নেবে না। আর ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করা হবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর। এদিকে নির্বাচনের আগে সৃষ্ট এমন পরিস্থিতিকে জটিল ও কঠিন হিসেবে মন্তব্য করেছে সম্প্রতি বাংলাদেশে সফর করা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদীয় প্রতিনিধি দল।

প্রসঙ্গত, সংবিধান অনুযায়ী আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ২৮ জানুয়ারির মধ্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে হবে।

আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা যাই বলুক না কেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে বলে মনে করেন ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন। তিনি যুগান্তরকে বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপি যে সংযত কর্মসূচি পালন করছে, তাতে দলটির সম্পর্কে মানুষের ধারণা ইতিবাচক হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ না করে তাহলে আওয়ামী লীগ সরকার আন্তর্জাতিক মহলের প্রচণ্ড চাপে পড়বে। এ কারণে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে সরকারি দলের দায়-দায়িত্ব অনেক বেশি। একইভাবে বিএনপিরও দায়-দায়িত্ব রয়েছে। কারণ এ দলটি নির্বাচনে অংশ না নিলে সরকারের কিছু করার থাকবে না। তবে যাই হোক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হলে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে।

জানতে চাইলে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচনের এখনও কয়েক মাস বাকি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যা করার তা সবই সরকারকে করতে হবে। নির্বাচনের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে হলে সব দলকে প্রচারের সুযোগ দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে আইনগতভাবে ইসির তেমন কিছু করার থাকে না। আর আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এখন ইসি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার কথা বললেও দলগুলো তা শুনবে বলে মনে হয় না।

তবে এ মুহূর্তে সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকট নিরসনে কিছুই করণীয় নেই বলে মনে করছে নির্বাচন কমিশন। ইসি কোনো উদ্যোগ নেবে না বলেও বিভিন্ন সময়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) জানিয়েছেন। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বর্তমান পরিস্থিতিতে ইসির ভূমিকা কী হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সংবিধান ও আইনের বাইরে আমাদের করার কিছু নেই। সংবিধান ও আইন অনুযায়ী যা করার তাই করছি। এর বাইরে আমাদের করণীয় কী আছে উল্টো প্রশ্ন রাখেন তিনি।

তফসিল ঘোষণার আগে ইসির করণীয় কিছু নেই বলে জানিয়েছিলেন সিইসি কেএম নুরুল হুদা। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার সময়ে (২০১৭ সালের ১৬ জুলাই) সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেছিলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের নেই। এমনকি এ মুহূর্তে কমিশন নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির বিষয়ে সরকারকে কোনো অনুরোধ করবে না। নির্বাচন সহায়ক পরিবেশ প্রসঙ্গে সিইসি বলেছিলেন, এগুলো নির্বাচন কমিশনের বিষয় নয়। এটি সরকারের বিষয়। কীভাবে সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায়, কমিশন শুধু সেটা নিয়ে ভাবে। তফসিল ঘোষণার পর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাজ আইনে নির্ধারণ করা আছে। এ মুহূর্তে সরকারের কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করার অধিকার কমিশনের নেই। রাজনৈতিক দলগুলো সভা-সমাবেশ বা মিছিল-মিটিং করার অধিকার না পেলে তাতেও নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। তফসিল ঘোষণার পর এসব দেখার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।

তবে নির্বাচনে বিএনপি থাকুক- আওয়ামী লীগ এটা চায় বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে বিএনপির মতো একটি বড় দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চাই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকলে ইলেকশনে মজা নেই। আমরা চাই বিএনপি নির্বাচনে আসুক এবং ইলেকশনটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক।

অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, বিএনপিকে নেতৃত্বশূন্য করতে এবং নির্বাচনের বাইরে রাখতে সরকার ‘নীলনকশা’ করেছে। সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের যেভাবে মামলায় জড়ানো হচ্ছে, তাতে মামলা চালাতেই তাদের সারাজীবন শেষ হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, খালেদা জিয়া এবং বিএনপি যেন আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সেই পথে হাঁটছে সরকার। তিনি আরও বলেন, বিরোধী দল যারা করবে, তাদের এই মামলা ফেইস করতেই সারাটা জীবন চলে যাবে, মৃত্যুবরণ করতে হবে।

বিএনপির নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর বিএনপির ৭৭টি টিমের সাংগঠনিক সফর বন্ধ হয়ে গেছে। সব স্তরের নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলনের পাশাপাশি গ্রেফতার এড়াতে অনেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন। দলটির প্রায় সাড়ে চার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে আটক রয়েছেন। সিনিয়র নেতাদের নামে মামলার পাহাড় রয়েছে। নির্বাচনের প্রচারণা চালানো দূরে থাক, আদালতের বারান্দায় তাদের সময় পার করতে হচ্ছে। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ যুগান্তরকে বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ মুহূর্তে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ একেবারে নেই। একদিকে ক্ষমতাসীনরা পুরোদমে প্রচার চালাচ্ছে, অন্যদিকে প্রতিদিন সারা দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে। যাদের টার্গেট করছে সেসব নেতার বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। গ্রেফতারের ভয়ে অনেকেই বাড়িছাড়া। এমন পরিস্থিতিতে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করার দায়িত্ব সরকারের। এটা তাদের আত্মোপলব্ধি ও আত্মজিজ্ঞাসার ব্যাপার। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। তারা সারা বছরই এটা করতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়ে বলতে পারেন, এসব বন্ধ করুন।

এদিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, বিএনপি এখনই নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারছে। তবে সরকারি দল হওয়ায় আওয়ামী লীগ হয়তো কিছুটা বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে। এখন নির্বাচনী প্রচারে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ রয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু বলেন, এটি আলোচনা সাপেক্ষ বিষয়। এক কথায় উত্তর দেয়া যাবে না। সবাই প্রচারণা চালাচ্ছে। সরকারি দল হওয়ায় আওয়ামী লীগ সুযোগ-সুবিধা একটু বেশি পাচ্ছে। সব সরকারের সময়ে এটি হয়ে থাকে। তবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এ বৈষম্য থাকবে না।

তিনি বলেন, সব দলের অংশগ্রহণ ও তীব্র প্রতিযোগিতামূলক আগামী নির্বাচন হোক তা চাই। ওই নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি নিচ্ছে। অপরদিকে বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, গ্রামগঞ্জে প্রচারণা চালাচ্ছে। তবে আমরা সরকারি দলে থাকায় মিডিয়া কভারেজের মাত্রা বেশি হচ্ছে। সেই তুলনায় তাদের মিডিয়া কভারেজ কম পাচ্ছে। কারণ হচ্ছে, আমরা যে কোনো সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেশের গত ১০ বছরের উন্নয়নের কথা তুলে ধরছি। আর বিএনপির সময়ে তেমন কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করতে না পারায় তারা তা তুলে ধরতে পারছে না।

বাংলাদেশে বর্তমান রাজনীতি কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন সম্প্রতি বাংলাদেশে সফর করা ইউরোপীয় পার্লামেন্টারি (ইপি) প্রতিনিধি দল। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান প্রতিনিধি দলের প্রধান জ্যঁ ল্যামবার্ট। তার সফরের শেষদিন বুধবার সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন ছিল- আওয়ামী লীগ নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছে, অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতের রায়ে কারাগারে গেছেন; বিএনপি খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আন্দোলন করছে। এমন পরিস্থিতি ইউরোপীয় পার্লামেন্ট কিভাবে দেখছে? জবাবে তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি কঠিন। এটি আদালতের বিষয়। আমরা আদালতের মামলা ও রায় নিয়ে মন্তব্য করি না। নিঃসন্দেহে এটি দলের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তবে আমি মনে করি, রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচনে মনোযোগী হওয়াও তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, সমবেত হওয়া, প্রচারণা চালানোর মতো চ্যালেঞ্জ আছে। ইপি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের কাছে বিষয়টি তুলেছে। আগামী দিনেও তারা এটি অব্যাহত রাখবে। বিদ্যমান আইনে সব দলের কাছে সুষ্ঠু হয়, এমন নির্বাচন আয়োজন করাও নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সূত্র : যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়