রিকু আমির : ঢাকার খাবার রেস্তোরাঁগুলোর মান নিয়ন্ত্রণে গ্রিন জোন নামক যে ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর, সে ব্যবস্থা বাস্তবায়নের পক্ষে আছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি।
এ সমিতির সভাপতি ও এফবিসিসিআইর পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন শুক্রবার বিকালে এ প্রতিবেদকের প্রশ্নে বলেন, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের উদ্যোগের সঙ্গে দ্বিমত পোষণের কোনো কারণ নেই। তবে রেস্তোরাঁগুলোকে দুই বা তিন মাস সময় দিতে হবে, যাতে অধিদপ্তরের চাহিদা অনুযায়ী তারা তাদের পরিবেশ গোছাতে পারে। বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে যারা অধিদপ্তরের চাহিদা পূরণ করবে, তারা সবুজ স্টিকার। নয়তো হলুদ বা লাল স্টিকার পাবে।
গ্রিন জোন পদ্ধতির মাধ্যমে রেস্তোরাঁয় সবুজ, হলুদ, লাল রঙের স্টিকার ব্যবহার করা হবে, যা দিয়ে একজন ভোক্তা বুঝতে সক্ষম হবেন সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁ স্বাস্থ্যসম্মত খাবার বিক্রি করে কি-না।
বর্তমানে ঢাকায় ১২ থেকে ১৫ হাজার রেস্তোরাঁ এবং চট্টগ্রাম মহানগরীতে প্রায় ৪ হাজার রেস্তোরাঁ আছে। উদ্যোগটির প্রথম পর্যায় হবে পরীক্ষামূলক। এ সময় মতিঝিল, দিলকুশা এবং তোপখানা রোডের শতাধিক রেস্তোরাঁকে এ জোনের আওতায় আনা হবে। এরপর চট্টগ্রামে এই কার্যক্রম পরিচালনার পরিকল্পনা আছে।
খন্দকার রুহুল আমিন বলেন, রেস্তোরাঁর মান উন্নত হোক, মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণ করুক- এটা অবশ্যই চাই। এটা নিশ্চিত করা নিয়ে বহুদিন ধরেই কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এভাবে রেস্তোরাঁগুলোকে চলতেও দেয়া যায় না। তাদের একটা নিয়মনীতির মধ্যে আনলেই স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য বিক্রয় ও পরিবেশগত দিক উন্নত করা যাবে। আশা করছি- গ্রিন জোনের মাধ্যমে একটা গতি হবে।
আপনার মতামত লিখুন :