আব্দুর রাজ্জাক: পিয়ংচ্যাং এখন মূল আকর্ষণের বিষয় হলেও সেখানকার ভেন্যুগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষের চোখ এখন দক্ষিণ কোরিয়ার পিয়ংচ্যাংয়ের দিকে। কেননা, সেখানেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবছরের শীতকালীন অলিম্পিক।
ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি) এর ৬ জুলাই ২০১১ এর পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত শীতকালীন অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাশিয়াতে ২০১৪সালে এবং পরের আসর অনুষ্ঠিত হবে চীনে ২০২২ সালে। এবারের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন মানুষদের জন্য অলিম্পিকের বিশেষ আয়োজন প্যারালিম্পিকও পিয়ংচ্যাংয়ে আয়োজিত হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার মোট জনসংখ্যা ৫ কোটি ৩৫লাখ হলেও তাদের মাথা পিছু আয় ১ লাখ ১১৬ হাজার মার্কিন ডলার। পিয়ংচ্যাং অলিম্পিক আয়োজনে এক বিশাল অংকের বাজেট ধরা হয়েছে। অলিম্পিক কমিটির মাধ্যমে জানানো হয় যে, তাদের ব্যয় বাজেট ৩.৫-৯.৫ বিলিয়ন
মার্কিন ডলারের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হবে। যদিও গত আসরে রাশিয়া প্রায় ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করেছিল।
পিয়ংচ্যাং গান, গ্যাংগুওন সি, জিয়ংসিয়ন গান ও পিয়ংচ্যাংয়ের ৬টি জায়গাসহ দক্ষিণ কোরিয়ার মোট ৯ টি ভেন্যুতে এবারের আসরটি আয়োজন করা হয়েছে। যদিও প্যারলিম্পিকের জন্য এর এক-তৃতীয়াংশও ব্যবহার হবে না।
অন্যদিকে অলিম্পিক আয়োজনে দক্ষিণ কোরিয়ার কুকুরের মাংস খাওয়ার এক অনন্য সংস্কৃতি নিয়ে সমালোচনাও চরমে উঠেছে। এই বিষয়টি সামনে আসে ১৯৮৮ সালের অলিম্পিককে কেন্দ্র করে। কারণ এই বিশাল আয়োজনে কী পরিমাণ কুকুর খাওয়া হবে তার কোন পরিমাপ কেউ করতে পারবে না। কেউ কেউ বলছেন কুকুর মানুষের খাদ্য নয় বরং বন্ধু।
অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিক আয়োজন শেষে ভেন্যুগুলো ঠিক কি কাজে ব্যহার করা হবে বা কার নিয়ন্ত্রণে থাকবে তার কোন সদোত্তর কেউ দিতে পারছে না। আল-জাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :