সোহেল সানী পার্বতীপুর(দিনাজপুর): দিনাজপুরের পার্বতীপুরে অবস্থিত রেল হেড ওয়েল ডিপোয় রেলপথে ডিজেল সরবরাহে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় এবং একই সাথে সীমান্তবর্তী অঞ্চল বিবেচনায় তেল উত্তোলনে কিছুটা নিয়ন্ত্রন আরোপ করায় বোরো মৌসুমের শুরুতে স্থানীয় তেল ব্যবসায়ী ও এজেন্টরা চলতি সেচ মৌসমে জ্বালানি তেল সংকটের আশঙ্কা করছিলেন।
তবে গত ২/৩ দিনে সরবরাহ বাড়ায় ডিপোয় জ্বালানি তেলের মজুদ ও বিপনন পুরোপুরি স্বাভাবিক বলে দাবি ডিপো কর্তৃপক্ষের । জানা গেছে, সেচ মৌসুমে উত্তরাঞ্চলের ৮ জেলায় জ্বালানি তেলের সরবরাহে স্বাভাবিক রাখতে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন( বিপিসি) ১৯৯৯ সালে পার্বতীপুরে রেল হেড ওয়ের ডিপো স্থাপন করে। ডিজেল, পেট্রোল ও কেরোসিনসহ ১ কোটি ৭১ লাখ লিটার ধারন ক্ষমতার এই ডিপোয় চট্রগ্রাম বন্দর থেকে জ্বালানি তেল নদী ও সমুদ্র পথে প্রথমে খুলনার দৌলতপুর তেল ডিপোয় আনা হয়। পরে রেল পথে পার্বতীপুর ডিপোয় পাঠানো হয়। কোনও কারণে তেল সরবরাহে বিলম্ব হলে উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি তেল সংকট সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরী হয় ।
পার্বতীপুরে বিপিসির রেল হেড অয়েল ডিপো ইনচার্জ হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ জানান, ডিপোয় সপ্তাহে ৪ থেকে ৫দিন অয়েল ওয়াগনে করে ১৫ লাখ লিটার জ্বালানি তেল সরবরাহ দেওয়া হয়। বেরো মৌসুমের শুরুতে ডিজেলের দৈনিক চাহিদা বেশী থাকলেও পরবর্তীতে তা ৩-৪ লাখ লিটারে নেমে আসে।
তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৬২ দশমিক ৫১ টাকা হলেও ভারতে এর দাম ২০ টাকা বেশি। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় ডিজেল বিপণনে তাই সতর্কতা অবলম্বন করায় ও রেল পথে তেল সরবরাহে বিলম্ব হওয়ায় জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণে কিছুটা চাপ সৃষ্টি হয়েছিল।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর পেট্রোল পাম্প ও জ্বালানি তেল পরিবেশক মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক রওশন আলী জানান, বর্তমানে উত্তরাঞ্চলে জ্বালানি তেলের সরবরাহ পরিস্থিতিতি একবোরেই স্বাভাবিক, কোন সংকট নেই।
আপনার মতামত লিখুন :